Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus Lockdown

১২টার পরে বন্ধ থাকবে বাজার

ইংরেজবাজার, মানিকচক, কালিয়াচক, হরিশ্চন্দ্রপুরের মতো ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২০ ০৩:৩০
Share: Save:

সাদা গোল গণ্ডী থেকে শুরু করে চলছে ধরপাকড় ও সচেতনতামূলক প্রচার। তার পরেও ঠাসাঠাসি করে কেনাবেচা চলছে আনাজ ও মাছ বাজারে। এ দিকে, মালদহে করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। তাই নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে এ বার দুপুর ১২টার পরে মাছ, ও আনাজ বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন ব্যবসায়ীরা। বিকেল ৫টার পরে ওষুধের দোকান ছাড়া সমস্ত বাজার বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠন।

ইংরেজবাজার, মানিকচক, কালিয়াচক, হরিশ্চন্দ্রপুরের মতো ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এঁরা অধিকাংশই পরিযায়ী শ্রমিক। ট্রেনে, বাসে দৈনিক জেলায় ফিরছেন। এমন অবস্থায় করোনা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। তার পরেও অনেকেই সচেতন না হয়েই রাস্তায় চলাফেরা করছেন। এমনকি মাস্ক পরছেন না বলেও অভিযোগ।

ভিড় দেখে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। তাঁদের দাবি, লকডাউন শিথিল হতেই উধাও সামাজিক দূরত্ব। ভিড় করে কেনাকাটা চলছে দোকান-বাজারে। এমন চললে আগামীতে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম মেনে চলতে হবে সাধারণ মানুষকে।

ভিড় সামাল দিতে ধরপাকড় থেকে শুরু করে প্রচারও চালানো হয়েছে। তার পরেও ভিড়ের ছবি বদলায়নি জেলায়। ব্যবসায়ীদের দাবি, সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আনাজ ও মাছ বাজার খোলা থাকবে। মাস্ক না থাকলে ক্রেতাদের আনাজ দেওয়া হবে না বলে জানান বিক্রেতারা। ইংরেজবাজারের রথবাড়ির আনাজ বিক্রেতা রমেশ সাহা, দীপক সরকারেরা জানান, দুপুর ১২টার পরে আনাজের দোকান খোলা থাকবে না। কেউ মাস্ক না পরলে আনাজ দেওয়া হবে না।” মালদহের মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাসের সম্পাদক জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, “ব্যবসায়ীরা সচেতন হয়েছেন। বিকেল ৫টার পর দোকান বাজার বন্ধ থাকবে।” পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, “প্রচার অভিযান চলছেই। প্রয়োজনে আরও বাড়ানো হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Covid-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE