Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

কোর্টের রায়, ‘বাধা’ কাটল

দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ত্রাণ বিলি করেন।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০২০ ০৫:৪২
Share: Save:

‘তৃণমূলের নির্দেশে জেলা প্রশাসন তাঁকে ত্রাণ বিলি করতে দিচ্ছে না’— এমন অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার হাইকোর্ট জানাল, স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে ত্রাণ বিলি করতে পারবেন সুকান্ত। ওই রায়ে উচ্ছ্বসিত বিজেপি শিবির। রায় জানার পরে ফোনে সুকান্ত বলেন, ‘‘প্রশাসন যে তৃণমূল পরিচালিত দলীয় পার্টিতে পরিণত হয়েছে এবং অনৈতিক ভাবে আমাকে ত্রাণ বিলিতে বাধা দেওয়া হয়েছে, হাইকোর্টের রায় তা প্রমাণ করল। এটা আমার নৈতিক জয়।’’এ নিয়ে বিজেপির টুইট— ‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে নিজের এলাকায় ত্রাণ বিলির জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। এটা অভাবনীয়।’

লকডাউন শুরু হতেই ত্রাণ বিলির কাজ শুরু করেছিল তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ত্রাণ বিলি করেন।

তৃণমূল ত্রাণ বিলিতে অনেকটা এগোতে ময়দানে নামে বিজেপি। তারাও হিলি ব্লকে ত্রাণ বিলি করতে উদ্যোগী হয়। কিন্তু অভিযোগ, সুকান্ত ত্রাণ বিলি করতে বাড়ি থেকে বের হতেই পুলিশ তাকে আটকে দেয়। পুলিশের দাবি ছিল, সুকান্ত দিল্লি থেকে এসেছেন, তাই তাঁকে ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকতে হবে। তার পরো প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ত্রাণ বিলি করতে হবে। সেই মতো প্রশাসন সুকান্তকে হোম কোয়রান্টিনে পাঠায়। তার পরেও সুকান্ত অভিযোগ তোলেন, গৃহবাসের মেয়াদ শেষের পরে ত্রাণ বিলি করতে চাইলেও তাঁকে কোথাও যেতে দেয়নি পুলিশ। এর পরেই হাইকোর্টে মামলা করেন সুকান্ত।

এ দিন হাইকোর্ট তাকে ত্রাণ বিলির অনুমতি দিলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিজেপি সাংসদ। যদিও সুকান্তর অভিযোগকে আমল দিতে চাননি অর্পিতা। তিনি বলেন, ‘‘উনি যখন বালুরঘাটে আনাজ বিলি করলেন, তখন তো কেউ আটকায়নি। হিলি সীমান্ত এলাকায় যেতে হলে প্রশাসনিক অনুমতি প্রয়োজন। তা না নিয়েই তিনি বেরিয়েছিলেন। তা-ও ত্রাণ বিলি করতে নয়। আমরা চাই উনি জেলার সাড়ে ১৭ লক্ষ বাসিন্দাকে ত্রাণ দিন। তা না করে রাজনীতি করতে মিথ্যা অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন।’’

লকডাউনের নিয়ম অনেক শিখিল হওয়ায় এখন যাতায়াতে তেমন নিষেধাজ্ঞা নেই। জেলাবাসীর একাংশের বক্তব্য, এমন সময় ওই রায়ে কার্যত ত্রাণ বিলির সুযোগ হাতছাড়া হল বিজেপির। সুকান্তও বলেন, ‘‘এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক। ত্রাণের বিশেষ প্রয়োজনও নেই। তবু কয়েক জায়গায় ত্রাণ বিলি করব ভেবেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE