Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

কেন্দ্র-রাজ্যকে একসুরে দুষলেন বাম নেতারা

ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন দেখানো মোদী সরকার কত বেকারের চাকরি দিয়েছেন সেই তথ্য দিতে পারছেন না বলে সাংসদ অভিযোগ করেন।

বক্তা: চ্যাংরাবান্ধায় শনিবার সিটুর সম্মেলনে প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সাংসদ মহম্মদ সেলিম। নিজস্ব চিত্র

বক্তা: চ্যাংরাবান্ধায় শনিবার সিটুর সম্মেলনে প্রকাশ্য সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সাংসদ মহম্মদ সেলিম। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
চ্যাংরাবান্ধা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:১১
Share: Save:

কৃষক ফসলের দাম পাচ্ছেন না, ধান বিক্রি করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন, তখনই সিন্ডিকেট রাজ চলছে রাজ্য জুড়ে, আর এর পিছনে মদত রয়েছে কেন্দ্রের মোদী সরকারের— শনিবার চ্যাংরাবান্ধায় সিটুর সপ্তম কোচবিহার জেলা সম্মেলনের প্রকাশ্য সভায় এভাবেই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে মিলিয়ে দিয়ে, দু’পক্ষের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য সাংসদ মহম্মদ সেলিম।

এ দিনের সভায় তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে যখন শ্রমিক, কৃষক সংগঠন আন্দোলন শুরু করেছে তখন সেই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে চাইছে তৃণমূল সরকার। বেকার যুবকদের চাকরি নেই। তথ্যই নেই কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করে চলেছে।’’ তিনি তাঁর বক্তব্যে অভিযোগ করেন, একশো দিন, মিড ডে মিল, স্কলারশিপের টাকা লুট হচ্ছে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন দেখানো মোদী সরকার কত বেকারের চাকরি দিয়েছেন সেই তথ্য দিতে পারছেন না বলে সাংসদ অভিযোগ করেন।

সিটুর রাজ্য সম্পাদক তথা প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী অনাদি সাহু বলেন, ‘‘নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশে যখন পেট্রোপণ্যের দাম কম, তখন ভারতবর্ষে তা লাগামছাড়া। ধর্মের নামে দেশজুড়ে বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি। যারা দাঙ্গা বাধায়, তারা রাজ্যে গণতন্ত্র বাঁচানোর নামে রথযাত্রা করে সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে। আবার নারদা-সারদা কেলেঙ্কারিতে যুক্ত তৃণমূল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি সিবিআই, ইডি।।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক তারিণী রায় তাঁর বক্তব্যে জানান, সাবেক ছিটমহলবাসীদের সমস্যা, বন্ধ শিল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল করতে হবে শ্রমিক, কৃষক ও সাধারণ মানুষকে। আগামী ৮ ও ৯ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সরকার বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলোর ডাকে যে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক হবে, তা সফল করার আহ্বান জানান সিপিএম নেতারা। ২৭ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দেন সিটু নেতারা।

বাম নেতাদের সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা বলেন, ‘‘বিজেপি ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে। বামফ্রন্টই বিভাজনের রাজনীতি করে এসেছে। ৩৪ বছর রাজ্যে কত বেকারের চাকরি দিয়েছে যে ওরা চাকরির কথা বলে।’’

তৃণমূল সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘‘মানুষ বামফ্রন্টের কীর্তি জানেন। তাই ওদের ছুড়ে ফেলেছে। বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ চলছে, তাতে সংগঠন ধরে রাখতে না পেরে, কুৎসা রটাচ্ছেন বাম নেতারা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE