বুধবার বন্ধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শিলিগুড়িতে। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
সিপিএম পার্টি অফিস থেকে রান্না করে ‘কমরেড’দের জন্য পাঠানো আনাজ দেওয়া খিচুড়ি ভাগ করে খেলেন থানায় ‘আটক’ কংগ্রেস নেতারাও। জলপাইগুড়ির বাম-কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা যৌথ ভাবে বন্ধ করতে নেমে পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন বুধবার। দুই দলের নেতাদের জন্য প্রথমে সিপিএম পার্টি অফিস থেকে পাঠানো হয় মুড়ি চানাচুর, রুটি-তরকারিও। পরে খিচুড়ি। বুধবার বন্ধের দিন এই ‘সমঝোতা’ মাস কয়েক বাদে জলপাইগুড়ি পুরভোটের তাৎপর্যপূর্ণ।
এ দিন সকালেই শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে সরকারি বাস থামিয়ে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অরিন্দম চক্রবর্তী যাত্রীদের বলেছেন, “আপনাদের জন্যই তো বন্ধ। এনআরসি শুনেছেন তো, বিজেপি দেশ থেকে লোক তাড়াবে কিন্তু।” অরিন্দমের কথার রেশ ধরে কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর নারায়ণ সরকার পাশে দাঁড়িয়ে বলছেন, “...তখন বুঝবেন। একদিন অফিসে না গিয়ে প্রতিবাদ করুন।” এর খানিক বাদে জেলা আদালত চত্বরে জেলা কংগ্রেসের আর এক কাউন্সিলর অম্লান মুন্সিকে দেখা গেল বাম যুব কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গেট অবরোধ করতে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য-সহ বন্ধ সমর্থনকারীদের অনেকেকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁরা যতক্ষণ না ছাড়া পান, জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলেন শহর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি নেতা পিনাকী সেনগুপ্ত-সহ অন্য কংগ্রেস নেতারা। ’
লোকসভা ভোটে পৃথক লড়ে কোনও ওয়ার্ডে তৃতীয়, কোথাও চতুর্থ হয়েছিল বাম এবং কংগ্রেস। শহরের সব কটি ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষদস্তিদার বললেন, “যৌথ আন্দোলনে সুফল মেলেই। আগামীতেও মিলবে।’’
তৃণমূল নেতারাও খুশি বন্ধের সাফল্যে। বাম-কংগ্রেসের ভোট ফিরলে আখেরে লাভ তাদেরই। জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর মন্তব্য, “বিজেপির উপরে সকলে রেগে আছে, বোঝা যাচ্ছে।” অবশ্য এক বিজেপি নেতার দাবি, ‘‘ভোটের অঙ্ক আর বন্ধ মেলে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy