Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

হেনস্থা বাম বিধায়ককে

কখনও পরিবহণ কর্মীদের সঙ্গে বচসাকে ঘিরে উত্তেজনা। আবার কখনও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। সোমবার সকালে বন্‌ধ ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল ইংরেজবাজার শহরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ ও ইংরেজবাজার শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪৬
Share: Save:

কখনও পরিবহণ কর্মীদের সঙ্গে বচসাকে ঘিরে উত্তেজনা। আবার কখনও পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। সোমবার সকালে বন্‌ধ ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াল ইংরেজবাজার শহরে। তবে অধিকাংশ দোকান খোলা ছিল। বেসরকারি বাসও চলাচল করতে দেখা গিয়েছে দিনভর। যদিও বন্‌ধ সফল বলে দাবি করেছেন মালদহের কংগ্রেস এবং বাম নেতৃত্ব। তবে এ দিন বন্‌ধে সক্রিয়তার নিরিখে কংগ্রেসকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিল বামেরা। কংগ্রেসের এ দিনের এই ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়ে দিনভর চলল রাজনৈতিক জল্পনা।

সকাল ৮টা নাগাদ ইংরেজবাজারের ফোয়ারা মোড়ে জমায়েত হন বাম নেতা-কর্মীরা। সেখান থেকে তাঁরা মিছিল করে যান শহরের প্রাণকেন্দ্র রথবাড়িতে। সেখানে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের অবরোধ তুলে নিতে বললে শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। অভিযোগ, কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক দীপক সরকার হবিবপুরের সিপিএমের বিধায়ক খগেন মুর্মুকে হেনস্থা করেছেন। যার প্রতিবাদে এ দিন জেলা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। বিধায়ক বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভাবে জাতীয় সড়কে প্রতীকী অবরোধের কর্মসূচি ছিল। সেই সময় ওই পুলিশ আধিকারিক অতিসক্রিয় হয়ে ধাক্কাধাক্কি করে।’’

পরিবহণ কর্মীদের সঙ্গেও বচসায় জড়িয়ে পড়েন বামেরা। রথবাড়ি মোড়ে রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের বাসের পাশাপাশি চলাচল করতে দেখা যায় বেসরকারি বাসও। বেসরকারি চালকেরা রাস্তায় বাস বের করায় শুরু হয় বনধ সমর্থনকারীদের সঙ্গে বচসা। রাস্তায় টোটোচালকদেরও বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, ‘‘জোর করে বন্‌ধ সমর্থনের চেষ্টা করা হয়নি। মানুষ স্বেচ্ছায় সমর্থন করেছেন।’’

অন্যদিকে, ৯টা থেকে ওই ফোয়ারা মোড় থেকেই এ দিন মিছিল করার কথা ছিল কংগ্রেসের। ততক্ষণে ফোয়ারা মোড় পুলিশকর্মীদের দখলে। তখনও দেখা নেই কংগ্রেসের নেতানেত্রীদের। এর পর এক এক করে হাজির হলেন পুরাতন মালদহের কংগ্রেসের বিধায়ক ভুপেন্দ্রনাথ হালদার, মোস্তাক আলম, মোত্তাকিম আলমেরা। হাজির গুটিকয়েক দলীয় কর্মী-সমর্থক। এক এক করে দোকানও খুলতে শুরু করেছে। দেদার চলছে টোটো। উত্তেজিত হয়ে কিছু কর্মী-সমর্থক টোটো আটকানোর চেষ্টা করেন। তবে নেতারা কর্মী-সমর্থকদের সামলান। সকাল ১০টা নাগাদ কর্মসূচিতে যোগ দেন মৌসম নুর ও আবু হাসেম খান চৌধুরী। শহরে শুরু হয় মিছিল। তবে বন্‌ধ নিয়ে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি কংগ্রেসের। মৌসম বলেন, ‘‘জোর করে বন্‌ধের পক্ষে নেই কংগ্রেস। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মানুষ নিজেরাই এগিয়ে এসেছেন।’’

বন্‌ধ নিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের এমন মনোভাব দেখে হতাশ খোদ কর্মী-সমর্থকেরাও। পুরাতন মালদহের এক কর্মী বলেন, ‘‘জেলার শীর্ষ নেতৃত্ব কখনও বলছেন বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সমর্থন করতে। আবার বিরোধিতাও করা হচ্ছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Harassment Police MLA CPM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE