Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

১০০ দিনে বাড়ছে ভিড়, দাবি

সংসার টানতে মাঠে ১০০ দিনের প্রকল্পে মাটি কাটছেন মালদহের হবিবপুর সুমিতা সিংহ।

কাজে মহিলারা। নিজস্ব চিত্র

কাজে মহিলারা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২০ ০২:২৫
Share: Save:

ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা বাড়ির একমাত্র রোজগেরে স্বামী রয়েছেন কোয়রান্টিন কেন্দ্রে। সংসার টানতে মাঠে ১০০ দিনের প্রকল্পে মাটি কাটছেন মালদহের হবিবপুর সুমিতা সিংহ। তাঁর কথায়, ‘‘রেশনে বিনামূল্যে চাল মিলছে ঠিকই। ভাত করতে তো জ্বালানি কিনতে হবে। সরকারি প্রকল্পে কাজ করলে দিনে মিলছে ২০৪ টাকা। স্বামী কোয়রান্টিনে। বাধ্য হয়ে আমাকেই কাজ করতে হচ্ছে।’’
সুমিতার মতো পরিস্থিতিতে পড়ে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করছেন অনেক মহিলাই। হবিবপুরের বৈদ্যপুরের কল্পনা সরকার বলেন, ‘‘লকডাউনে স্বামী ভিন্ রাজ্যে আটকে পড়েছিলেন। কোনও রকমে ট্রেনে ফিরে রয়েছেন কোয়রান্টিন কেন্দ্রে। ১৪ দিন সেখানে থাকার পরে, বাড়িতেও নাকি আরও ১৪ দিন বসে থাকতে হবে। তাতে তো সংসার চলবে না। তাই সরকারি প্রকল্পে মাটি কাটতে সকালেই মাঠে যাচ্ছি।”
লকডাউনে জেলার বাসিন্দাদের একাংশ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তার জেরে ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজের চাহিদা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’সপ্তাহ ধরে ওই প্রকল্পে কাজের গতি এসেছে। ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে এখনও পর্যন্ত গড়ে ২৩ দিন কাজ হয়ে গিয়েছে। জেলার ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতে দিনে ১ লক্ষ ১৭ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে গড়ে ৮০৪ করে কাজ করছেন। প্রশাসনের দাবি, হবিবপুর, গাজল, রতুয়া, বামনগোলার মতো ব্লকে ১০০ দিনের প্রকল্পে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। হবিবপুর ব্লকে দিনে ১৭ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। পুকুর খনন, রাস্তা তৈরি, নার্সারি তৈরির কাজ চলছে ১০০ দিনের প্রকল্পে।
১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে মজুরিও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা। তাঁদের দাবি, আগে দিনে মজুরি ছিল ১৮৪ টাকা। এখন ২০৪ টাকা করে দেওয়া হবে।
তবে শ্রমিকদের একাংশের দাবি, সরকারি প্রকল্পে অনেক সময় অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে ১০-১৫ দিন সময় লাগে। যদিও এখন শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে দ্রুত টাকা পৌঁছে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তারা। মালদহের মহকুমাশাসক (সদর) সুরেশচন্দ্র রানো বলেন, ‘‘দ্রুততার সঙ্গে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হচ্ছে। এ ছাড়া ১০০ দিনের প্রকল্পে কর্মদিবস আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coronavirus migrant labour lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE