আহত: উদ্ধার হওয়া চিতাবাঘটি। —নিজস্ব চিত্র।
কার্যত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আহত চিতাবাঘটি। শনিবার বিকেলে ফালাকাটার তাসাটি চা বাগানের সামনে গাড়ির ধাক্কায় আহত ওই মহিলা চিতাবাঘটিকে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে আনা হয়। তার কোমরে আটটি সেলাই পড়েছে। মাথা-সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চোট লাগায় সেটির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মীরা জানান, শনিবার রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত কিছুই মুখে তোলেনি চিতাবাঘটি। তার সামনে খাবার দেওয়া হলেও তা খাওয়ার শক্তি পর্যন্ত নেই প্রাণীটির। ওই কর্মীরা জানান, আহত চিতাবাঘটিকে নিয়ে সেখানে চিতাবাঘের সংখ্যা দাঁড়াল আটটি।
শনিবার চিতাবাঘটি উদ্ধার করেন ওই কেন্দ্রের কেয়ারটেকার পার্থসারথী সিংহ। তিনি জানান, দীর্ঘক্ষণ আহত চিতাবাঘটি রাস্তায় কাতরাচ্ছিল। কিন্তু তাকে দেখতে মানুষ ভিড় করায় সেটি খোঁড়াতে খোঁড়াতে রাস্তার পাশের চা বাগানে ঢুকে পড়ে। প্রাণীটিকে সেখান থেকে বের করে আনতে কালঘাম ছুটে যায় উদ্ধারকারীদের। তিনি বলেন, ‘‘সন্ধের অন্ধকারে কিছুই ঠাহর করা যাচ্ছিলনা। তার মধ্যেই হামাগুড়ি দিয়ে চা বাগানে ঢুকি। বাঘটিকে আনার পর দেখি মাথা থেকে পা পর্যন্ত শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছেঁচড়ে গিয়েছে। উঠে গিয়েছে লোমও।’’
চিকিৎসকরা জানান, সম্ভবত চিতাবাঘটির কোমরের হাড় ভেঙে গিয়েছে। মাথায়ও গুরুতর চোট আছে। তাই ৭২ ঘণ্টার আগে কিছুই বলা যাবে না। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এ দিন আহত চিতাবাঘটির খোঁজ নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘চিতাবাঘটিকে সুস্থ করতে বনকর্মীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন।’’
বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় যেভাবে একের পর এক বন্যপ্রাণীর মৃত্যু ঘটছে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমীরা। তাঁদের অভিযোগ, বনাঞ্চল এবং চা বাগানে গাড়ির গতিকম রাখার কথা বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না। তাঁদের দাবি, অভিযুক্ত গাড়ির চালককে খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy