আতঙ্ক: বাসিন্দারা দেখছেন সেতুর ভাঙা অংশ। নিজস্ব চিত্র
দশ বছর আগে দুর্বল সেতু ঘোষণা করে ১০ টনের বেশি যানবাহন সেতুতে ওঠা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বহু বার সেতু সংস্কার এবং নতুন সেতু তৈরির দাবি জানালেও কাজের কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে ভেঙে বসে গেল রায়গঞ্জের রামপুর পঞ্চায়েতের মহারাজা এলাকায় কাঞ্চন নদীর সেতুর মরচে ধরে থাকা লোহার বিমের একাংশ। বুধবার বিষয়টি নজরে আসার পরেই পূর্ত দফতরে হাইওয়ে ডিভিশনের তরফে পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে সেতু দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। পাঁচ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে রাত থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে।
পুরনো সেতুটির নীচের অংশে কংক্রিটের ঢালাই থেকে চাঙড় খসে পড়েছে। মরচে ধরা লোহার রড বেরিয়ে পড়েছে। সেতুর সঙ্গে রাস্তার সংযোগ অংশে একটি লোহার বিম মরচে ধরে ক্ষয়ে গিয়েছিল। ভারী যান চলাচলের ফলে সেটি ভেঙে ‘জয়েস’ বা পাডের দিকে থাকা যে লোহার পাতের উপর বসানো ছিল, তা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ দিন সেতু পরিদর্শনে আসেন পূর্ত দফতরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সহকারী বাস্তুকারেরা। স্বপনবাবু বলেন, ‘‘সেতুটি নতুন করে তৈরির সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছে। বিস্তারিত প্রজেক্ট রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই তা টেন্ডার হওয়ার কথা। না হওয়া পর্যন্ত সেতুটি মেরামত করে দেওয়া হচ্ছে।’’ দুপুরের পর থেকে মেরামতি শুরু হয়েছে বলেও তাঁরা দাবি করেন।
বাসিন্দাদের ক্ষোভ, অন্তত ৭০টি গ্রামের মানুষের ব্লক হাসপাতাল, মহারাজা হাই স্কুল, মহারাজা হাট, কারখানা, ব্যাঙ্কে যাতায়াতের প্রধান ভরসা এই সেতুই। শিলিগুড়ি থেকে মালদহগামী জাতীয় সড়কে যানজট থাকলে ‘বেঙ্গল টু বেঙ্গল’ সড়ক হয়ে এই পথে বাস, ট্রাকও চলে।
এলাকার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক কমলাকান্ত চৌধুরী, ব্যবসায়ী রঞ্জন দাসেরা বলেন, ‘‘সেতুটি অবিলম্বে নতুন করে তৈরি করা দরকার। যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy