মেঘ-মুলুকে: বুধবার আলিপুরদুয়ারে। ছবি: নারায়ণ দে
সরাসরি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় আমপানের জেরে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বুধবার বিক্ষিপ্ত ভাবে বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। দিনভর মেঘলা আকাশ আর দমকা হাওয়াও ছিল। যদিও সবরকম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। তৈরি রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর তৈরি রয়েছে।” কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, বৈঠক করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের মহকুমাশাসক রাজেশ জানিয়েছেন, সতর্কতামূলক সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, বেশ কিছু বিষয়ে বিশেষ ভাবে নজর রাখা হচ্ছে। তার মধ্যে কোনও নদীর জল বাড়ছে কিনা সে দিকে যেমন নজর রাখা হচ্ছে, তেমনি দু’জেলার ধান, আনাজের খেতের অবস্থার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ফ্লাড শেল্টার, ত্রাণ শিবিরগুলিও তৈরি রাখা হচ্ছে। কোচবিহারের দিনহাটায় মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়েছে।
দিনহাটা পুরসভাতেও আমপান পরিস্থিতির জেরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। দিনহাটার পুরপ্রধান চেয়ারম্যান উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত ওই কন্ট্রোলরুম খোলা থাকবে।’’
তুফানগঞ্জ পুরসভা এলাকায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার দোকানপাট বন্ধ রাখার জন্য মাইকে প্রচার করা হয়। মেখলিগঞ্জে দুপুরের দিকে অল্প সময় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হয়। বিদ্যুৎ দফতরের চ্যাংরাবান্ধা স্টেশন ম্যানেজার অভিষেক দে অবশ্য বলেন, “পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।বড় বিপর্যয় না হলে পরিষেবা স্বাভাবিক থাকবে।”
মাথাভাঙাতেও প্রশাসন ও পুরসভা সমস্ত সতর্কতা রাখছে। কোচবিহার শহরেও পরিস্থিতি বুঝে বৃহস্পতিবার দোকান খোলার কথা বলা হয়। বুধবার আমপানের কারণে বেশিরভাগ রাস্তা ছিল সুনসান। উত্তরবঙ্গের কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার রাস্তাঘাট ছিল অন্য কয়েকদিনের তুলনায় প্রায় ফাঁকা। কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নারায়ণ মোদক বলেন, “সকাল থেকে আকাশ মেঘলা থাকায় বাজার ও রাস্তায় লোকজনের আনাগোনা কম ছিল।”
আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্স ইন্ড্রাস্ট্রিজের সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, “লকডাউনে চৈত্র সেল, পয়লা বৈশাখের বাজার ব্যাপক ভাবে মার খেয়েছে। এ বার ইদের বাজার নিয়ে খানিকটা আশা বাড়ছিল। দুর্যোগ চিন্তা বাড়াল।”
উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ কৃষি মৌসম সেবা কেন্দ্র সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই কেন্দ্রের এক আধিকারিক জানান, সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy