সঙ্গে: সুজন চক্রবর্তী ও অশোক ভট্টাচার্য। দাড়িভিটে। নিজস্ব চিত্র
দাড়িভিট স্কুলে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে গুলি, বোমাবাজি, দুই ছাত্রের মৃত্যুর পরে তা নিয়ে শাসক বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই ময়দানে নেমেছে। তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চাও শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে রাজনীতি হতে পারে বলে উদ্বিগ্ন অনেকেই। তারা শান্তি এবং শিক্ষার পরিববেশ ফেরানোর প্রক্রিয়ার দাবি তুলেছেন।
শনিবার ওই এলাকায় যান বিধানসভার বামেদের পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। ঘটনার পরে আগের দিন রায়গঞ্জের সাংসদ মহম্মদ সেলিম মৃতের পরিববারের বাড়িতে গিয়েছেন। কংগ্রেসের দীপা দাশমুন্সি এবং মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক শঙ্কর মালাকারাও এসেছিলেন। শঙ্করবাবু এদিনও যান। গিয়েছিলেন বিজেপির রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও। পুলিশের গুলি চালানো এবং নিরীহ দুটি প্রাণ চলে যাওয়া নিয়ে তাঁরা সরব হয়েছেন। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানান। আজ, রবিবার বাড়িভিট এলাকায় বিজেপির একটি কেন্দ্রীয় দল যাওয়ার কথা।
ওই এলাকা পণ্ডিতপোতা ২ গ্রাম পঞ্চায়েত মধ্যে পড়ে। যেখানে দীর্ঘ দিন বামেরাই বোর্ড গঠন করেছে। গত বছর বামেদের হাত থেকে তৃণমূল এবং কংগ্রেস যৌথভাবে তা দখল করে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামফ্রন্ট এগিয়ে ছিল ৭টি আসন পেয়ে। তৃণমূল ৫টি এবং কংগ্রেস ২টি আসন পায়। বামেদের দু’জন সদস্যকে অপহরণ করে যৌথভাবে বোর্ড গঠন করে তৃণমুল ও কংগ্রেস। অথচ এ বছর বিজেপি এবং তৃণমূল ৫টি করে আসনে জেতে। নির্দল জেতে ৪টি আসনে। ওই নির্দল প্রার্থীরা তৃণমূলে যোগ দেন। বোর্ড তৃণমুল করলেও প্রধান হন নির্দল থেকে তৃণমুলে যোগ দেওয়া সদস্যরা। তবে এক লাফে সেখানে বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন শাসক দল। বিজেপির দাবি পুলিশ দিয়ে শাসক দল বাসিন্দাদের কণ্ঠ রোধ করতে চাইছে।
সুজনবাবু এ দিন বলেন, ‘‘টিভিতে যা ভিডিয়ো ফুটেজ দেখেছি, তাতে পুলিশের গতিবিধি ওই সময় প্রমাণ করে তারাই গুলি চালিয়েছে। বাসিন্দারাও তা বলছেন।’’ ইসলামপুরের বিধধায়ক তথা পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল বলেন, ‘‘সুজয়বাবুরা গিয়ে মানুষকে উস্কে দিয়েছেন। তারপর রাস্তা অবরোধ হয়।’’
এ দিন চাকুলিয়ার বিধায়ক আলি ইমরান রমজ দাড়িভিটে যাওয়ার পথে স্কুল থেকে পাঁচ কিলোমিটার আগে গোলাপাড়া এলাকায় পুলিশ আটকে দেয়। তিনি বলেন, ‘‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই পরিবেশ তৈরি করে, উত্তপ্ত করে বিজেপি এবং তৃণমূল রুটি সেঁকতে চাইছে।’’ ছাত্রদের কারা লেলিয়ে দিয়েছে চিহ্নিত করার দাবি তোলেন। পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে দাবিও করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy