Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Demolition

রাতারাতি স্কুল বাড়ি ভাঙা নিয়ে রাজনীতি মালদহে, তদন্তের নির্দেশ দিল প্রশাসন

মালদহ শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কালীতলা এলাকায় এই স্কুল ভাঙা হয়েছে। স্কুল ভেঙে পড়ার খবর শিক্ষকরা জেলা স্কুল পরিদর্শককে জানান।

রাতারাতি গায়েব প্রাথমিক বিদ্যালয়। নিজস্ব চিত্র।

রাতারাতি গায়েব প্রাথমিক বিদ্যালয়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ ১৮:৪৯
Share: Save:

আস্ত একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাতারাতি গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনার তদন্ত শুরু করল জেলা প্রশাসন। জেলা শিক্ষা দফতরের পরিদর্শক সুনীত সাঁপুয়ের চিঠি লিখে আগেই অভিযোগ জানান। এর পরেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার পুরসভা ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর আলাদা আলাদা ভাবে তদন্ত চালাবে। দু'টি রিপোর্ট মেলার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মালদহ শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কালীতলা এলাকায় এই স্কুল ভাঙা হয়েছে। স্কুল ভেঙে পড়ার খবর শিক্ষকরা জেলা স্কুল পরিদর্শককে জানান। এর পরে পরিদর্শক ইংরেজবাজার থানায় পুরো ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ করেন। তবে এমন কাণ্ড কী করে ঘটল তা নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ফলে গোটা ঘটনা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। এর পিছনে প্রমোটাররাজের গন্ধও পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীতলা এলাকায় প্রায় তিন কাঠা জমির উপরে ছাত্রবন্ধু প্রাথমিক স্কুলটি। প্রায় ৬১ বছরের পুরনো স্কুলে বর্তমানে ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ২ জন। লকডাউন থেকে স্কুলটি বন্ধ ছিল। স্বাভাবিকভাবে স্কুলে কারও যাতায়াত ছিল না বললেই চলে। হঠাৎ করে স্কুলটি কে বা কারা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে, তা নিয়ে এখন বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।

এই দিকে এমন ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তৎপরতাও শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি স্থানীয় নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পরে ‌জানান, আস্ত একটি স্কুল কীভাবে উধাও হয়ে যায় তা তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না। তিনি বলেন, "বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের দারস্থ হবেন তিনি। শিশুদের শিক্ষা ক্ষেত্র এমন ভাবে প্রোমোটারের দখলে চলে যাবে তা হতে পারে না।" মালদহ জেলা সিপিএম-এর সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, "৫০ বছরেরও বেশি পুরনো এই বিদ্যালয়। সরকারি অনুমতি ছাড়া এই বিদ্যালয় ভাঙা আইনত অপরাধ। ভবনটি ভগ্ন হলে তার সংস্কার বা ভাঙার এক্তিয়ার জেলা শিক্ষা দফতরের।" অন্য দিকে, জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর তথা ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসক দুলালচন্দ্র সরকার বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই বিদ্যালয়ের জমিতে প্রোমোটিং করার জন্য বা কোনও নির্মাণের জন্য কেউ আবেদন করেনি।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Demolition School Political controversy Maldah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE