জল প্রকল্পের কাজ শুরু। প্রতীকী চিত্র।
কার্যকালের মেয়াদ শেষের ঠিক আগের দিন জল প্রকল্পের উদ্বোধন করল ধূপগুড়ি পুরসভা।
আজ রবিবার শেষ হচ্ছে ধূপগুড়ি পুরসভার তৃণমূল পরিচালিত পুর বোর্ডের মেয়াদ। শনিবার বিদায়ী পুর বোর্ড পুরসভায় ৫ টি জলাধার ও শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ প্রকল্পের উদ্বোধন করে। উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, ও আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী জেমস কুজুর ও এসজেডিএ চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের কয়েকজন কৃতী পড়ুয়াকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
২০০২ সালে জুন মাসে ধূপগুড়ি পুরসভা গঠন হয়। তারপর টানা ১০ বছর পুরসভা দখলে ছিল বামফ্রন্টের। চেয়ারম্যান ছিলেন সিপিএমের সত্যরঞ্জন ঘোষ। ২০১২ সালের নির্বাচনে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও পরবর্তী পুরবোর্ড গঠনে বিলম্ব হওয়ায় ১৩ দিন জলপাইগুড়ির তৎকালীন মহকুমা শাসক সাগর চক্রবর্তী প্রশাসক হিসাবে পুরসভার কাজ চালান। ২৬ জুন তৃণমূল কংগ্রেসের শৈলেনচন্দ্র রায় চেয়ারম্যান ও অরূপ দে ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে শপথ নেন। আজ রবিবার, বর্তমান পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণা না হওয়ায় আবার প্রশাসক নিয়োগের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। নির্বাচনের জন্য রাজ্য সরকার সময় মতো নির্বাচন কমিশনে কোনও প্রস্তাব না পাঠানোতেই এই বিপত্তি বলে অভিযোগ। বিরোধীদের বক্তব্য, পুরসভার দুর্নীতি ঢাকতেই দেরিতে ভোট করতে চায় পুর কর্তৃপক্ষ। তবে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের অগষ্ট মাসেই ধূপগুড়ি পুরসভার নির্বাচন চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার। যতদিন নির্বাচন না হয়ে কোনও রাজনৈতিক দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে, ততদিন ধূপগুড়ি পুরসভার ভাগ্য প্রশাসকের হাতেই থাকবে। জেলা প্রশাসন ও পূর দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি পুরসভা চালানোর জন্য জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক রঞ্জন দাসকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
শনিবার জলপাইগুড়ির নবনিযুক্ত মহকুমা শাসক রঞ্জন দাস দায়িত্ব নিয়েই ধূপগুড়ি শহরের বিভিন্ন স্কুলে ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, ‘‘পুরসভা নির্বাচনের নির্দেশিকা এখনও জারি হয়নি। বুথগুলি কী অবস্থায় আছে তা ঘুরে দেখলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy