প্রতীকী ছবি
পশ্চিমী ঝঞ্ঝা দুর্বল হয়ে পড়ায় দার্জিলিং পাহাড় ও সিকিমে আপাতত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা কমেছে। কিন্তু, উত্তর সিকিমের উঁচু এলাকায় তুষারপাত চলছেই। সিকিমের বাকি এলাকা, দার্জিলিঙের আবহাওয়া মঙ্গলবার ছিল শুষ্ক। তবে তাপমাত্রা দিনের বেলায় ৯-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই ঘুরেছে। সান্দাকফু, টাইগার হিলে রাতের তাপমাত্রার যথাক্রমে ২ এবং ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যায়। ইতিমধ্যে সোমবার রাত ৯টা নাগাদ সিকিমে খুবই হালকা ভূমিকম্প হয়েছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রকের সিকিমের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘ঝঞ্ঝার অবস্থান থাকলেও তা অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফের শক্তি সঞ্চিত হলে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। তখন তুষারপাতও হতে পারে বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকায়। তবে দুর্বল হয়ে ঝঞ্ঝা মিলিয়ে গেলে শুধু উত্তর সিকিমের অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকাতেই শুধু তুষারপাত হবে।’’ তিনি জানান, সোমবার রাত সওয়া ৯টা নাগাদ দক্ষিণ সিকিমে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৩-এর কাছাকাছি। দক্ষিণ সিকিম থেকে আরও ১০ কিলোমিটার নীচে ভূমিকম্পের উৎস বলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া মন্ত্রকের সিকিম শাখা জানিয়েছে। এ দিন শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়িতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায়। রাতে অবশ্য তা নেমে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চলে যায়।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের নাক-কান-গলা বিভাগের সহকারী বিভাগীয় প্রধান রাধেশ্যাম মাহাতো বলেন, ‘‘দিনের গরম লাগছে বলে হালকা পোশাক পরছেন অনেকে। বেলা গড়াতেই ঠাণ্ডা পড়ছে। দ্রুত শীতল হচ্ছে আবহাওয়া। ফলে, বিভিন্ন রকম সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়ে এই সময়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy