ট্রাই সাইকেল আর সাইকেল চালিয়ে ১৭ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় সিকিমের গুরুদংমার লেক ঘুরে এলেন বলে দাবি শিলিগুড়ির তিন জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির। ৩০ এপ্রিল শিলিগুড়ি থেকে রওনা হয়ে ১১ মে লক্ষ্যে পৌঁছন। শুক্রবার শিলিগুড়ি ফিরতেই তাঁদের সংবর্ধনা জানানো হয়। বাড়িভাষা নেতাজি সুভাষ ওয়েলফেয়ার সোসাইটির তরফে মিছিল করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযানে গিয়েছিলেন চার জন। বাপি দে, জগদীশ রায়, রতন রায় এবং সাধন সরকার। বাড়িভাষার বাসিন্দা বাপি দে’র দু’টি পা নেই। ১৯৯৩ সালে ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনায় দুটি পা বাদ হয়ে যায় তাঁর। ট্রাইসাইকেলই ভরসা। সাধন সরকারের ডান হাত বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ এবং অনামিকা ছাড়া অন্য আঙুল নেই।
মেশিনে কাটা পড়েছে। প্লাস্টিকের ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন শালুগাড়ার জগদীশবাবু। মেশিনে হাত ঢুকে বাঁ হাতের একাংশ বাদ দিতে হয়। ডান হাতেই সাইকেল চালান। আর ডান পা অসাড় হয়ে পড়লেও এক পা দিয়েই কোনও ক্রমে সাইকেল চালাচ্ছেন রতনবাবু। পাহাড়ি পথে তাঁরা অভিযান চালিয়ে ওই উচ্চতায় পৌঁছন। এর আগেও ট্রাইসাইকেল, সাইকেল নিয়ে শিলিগুড়ি থেকে না থুলা, দার্জিলিং, দিল্লি অভিযান করেছেন তাঁরা। না থুলাতে সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৪২০ ফুট পর্যন্ত উঠছিলেন। এ বার উচ্চতা সব চেয়ে বেশি।
তবে রতনবাবু ১৫ হাজার ফুটের বেশি উঠতে পারেননি। বাকি তিন জন শেষ পর্যন্ত পৌঁছন বলে দাবি করেন। বাপি দে বলেন, ‘‘লক্ষ্য থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ক্যাম্প হয় গত বুধবার। সেখানে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় অনেকেই কাবু হয়ে পড়েছিল। অক্সিজেনের অভাবে সমস্যা হচ্ছিল।’’ তাঁরা জানান, চার প্রতিবন্ধী-সহ সঙ্গে অন্যরা মিলিয়ে ১২ জনের দলটির মধ্যে ৯ জন ওই শিবির পর্যন্ত উঠতে পারে। শিবিরে অচেতন হয়ে পড়েন জয়দীশবাবু। তাঁকে সেনা জওয়ানদের সহায়তায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল। পরে সুস্থ হয়ে তিনি আবার যোগ দেন। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে সকাল সাতটা নাগাদ রওনা হয়ে ১১টা নাগাদ ট্রাইসাইকেল, সাইকেল নিয়ে গুরুদংমার লেক পৌঁছন তিন প্রতিবন্ধী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy