যুব বিজেপি নেতা প্রশান্ত বর্মণ। —ফাইল চিত্র
লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপিতে যোগদান করা নব্য সদস্যদের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজেপি যুব মোর্চার কোচবিহার জেলা কমিটির সদস্য প্রশান্ত বর্মণ। শুক্রবার তিনি ভিডিয়ো বার্তায় তাঁর খুন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রশান্ত বর্মণকে সিতাইয়ে দলের জেলা পরিষদের প্রার্থী করা হয়েছিল। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি মালতী রাভা অবশ্য বলেন, ‘‘রবিবার জেলা কমিটির কয়েক জন সদস্য সিতাই এলাকায় গিয়ে প্রকৃত ঘটনা কী, তা জানবেন। তার পর বৈঠক করে সমস্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলে লোকজনই এলাকায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে।’’
প্রশান্ত এ দিন সংবাদমাধ্যমের কাছে ভিডিয়ো বার্তাটি পাঠিয়ে জানিয়েছেন, সিতাইয়ে এখন বিজেপি করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। সদ্য দলে আসা নুর মহম্মদ প্রমাণিক ও পরিমল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে তাণ্ডব চালানো হচ্ছে সিতাই এলাকায়, অভিযোগ তাঁর। তাঁর আরও অভিযোগ, নব্য এই সদস্যদের একাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সদস্যদের নানা ভাবে ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা আদায় করছেন। তাঁর কথায়, দলের দুর্দিনে যাঁরা কাজ করেছেন, এখন তাঁদের উপর নানাভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। তাঁর আরও অভিযোগ, নবাগতদের একাংশ মুখে কালো কাপড় বেঁধে তাঁকে খুন করার জন্যও ঘুরে বেড়াচ্ছে।
বিজেপির যুব মোর্চার এই নেতা ভিডিয়োয় এলাকার বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়ার নাম উল্লেখ করে বলেন, আগেও তিনি বিধায়কের বাহিনীকে যেমন ভয় পাননি, তেমনই এখনও ভয় পান না। সিতাই ব্লকের সাধারণ মানুষ তার পাশেই রয়েছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
নুর মহম্মদ প্রামাণিক বলেন, ‘‘প্রশান্ত বর্মণ বিজেপির কেউ নন। দল লোকসভা ভোটে ভাল ফল করার পরে প্রশান্ত বিজেপির নাম ভাঙিয়ে নানাভাবে সিতাইয়ে সন্ত্রাস শুরু করেছেন। তাঁর সন্ত্রাসে সিতাইয়ের মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে।’’ অন্য অভিযুক্ত পরিমল রায়ের সঙ্গে অনেক চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy