Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

এত্তা জঞ্জাল!ধমক দিলেন জেলাশাসক

এ দিন পদে পদে পুর কর্তৃপক্ষকে সর্তক করেছেন জেলাশাসক। পুরকর্মীরা যথাযথ কাজ না করলে সাসপেন্ড করার নির্দেশও দিয়েছেন।

বেহাল: রাস্তায় জমে রয়েছে জঞ্জাল। নিজস্ব চিত্র

বেহাল: রাস্তায় জমে রয়েছে জঞ্জাল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৮ ০৬:২৭
Share: Save:

উপচে পড়া ভ্যাটের দিকে আঙুল তুলে জেলাশাসক বললেন, ‘‘রাস্তার পাশে ময়লা জমে রয়েছে কেন?’’ তখন সকাল দশটা। জেলাশাসকের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন জলপাইগুড়ি পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক, অফিস সুপারিন্টেডেন্ট এবং জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের আধিকারিক। তাঁরা কোনওক্রমে জেলাশাসকে বলতে চাইছিলেন, শহরে দিনে একবার জঞ্জাল সাফাই হয়, গাড়ির সংখ্যাও কম। সেই কথার আমল না দিয়ে জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়ার মন্তব্য, “আমি কিছু শুনতে চাই না। আপনাদের দফতর তো কখনও টাকা দিতে বারণ করে না। দিনে তিনবার ময়লা অপসারণ করতে হবে। রাস্তার পাশে জঞ্জাল রাখা যাবে না।”

বুধবার সকালে জলপাইগুড়ি শহরের সাফাইয়ের হাল দেখার জন্য হাঁটতে শুরু করেছিলেন জেলাশাসক। ছিলেন সদর মহকুমাশাসক রঞ্জন দাস আর পুরসভার আধিকারিকরা। শহরের দিনবাজার থেকে হাসপাতাল পাড়া, মার্চেন্ট রোড হয়ে টাউন স্টেশনের পাশের রাস্তা ধরে হাঁটেন জেলাশাসক। পরে তিনি বলেন, “জলপাইগুড়ি শহরের পরিচ্ছন্নতার যা হাল দেখলাম তাতে আমি মোটেই সন্তুষ্ট নই।’’এ দিন পদে পদে পুর কর্তৃপক্ষকে সর্তক করেছেন জেলাশাসক। পুরকর্মীরা যথাযথ কাজ না করলে সাসপেন্ড করার নির্দেশও দিয়েছেন। পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, অনেক ওয়ার্ডে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে জঞ্জাল অপসারণের ব্যবস্থা নেই। তা শুনেও ক্ষুব্ধ হন জেলাশাসক। দু’নম্বর গুমটি লাগোয়া রাস্তার পাশে জঞ্জাল ছড়িয়ে ছিল, সেখানে তখন গবাদি পশু চরছে। দেখে দাঁড়িয়ে যান জেলাশাসক। তিনি পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিকের দিকে তাকাতেই, ওই আধিকারিক বলে ওঠেন, “ম্যাডাম অন্য ওয়ার্ডে ভাল পরিষ্কার হয়।“ তাঁকে থামিয়ে দিয়ে জেলাশাসক বলেন, “এই ওয়ার্ড কী দোষ করল যে ময়লা সরাবেন না?” ধমক খেয়ে চুপ করে যান পুরকর্তারা। ওই ওয়ার্ডে সলিড ওয়েস্ট প্রকল্প নেই শুনে জেলাশাসকের মন্তব্য, “কীভাবে কী করবেন আপনারা দেখুন। শহরের অবস্থা এমন রাখা যাবে না।”

পরেও এভাবে পরিদর্শন চালাবেন বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। প্রশাসনের একেবারে শীর্ষস্তর থেকে এমন সমালোচনা আসায় অস্বস্তিতে পুর কর্তৃপক্ষ। তৃণমূলের হাতেই রয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভা। প্রশাসনের আধিকারিক শাসকদলের পরিচালিত পুরসভার কাজকর্মে অসন্তোষ প্রকাশ করায় কটাক্ষ করেছে বিরোধীরাও। পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু শহরের বাইরে রয়েছেন। পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক শান্তনু নন্দন মৈত্র বলেন, “জেলাশাসক যে বিষয়গুলি নিয়ে নির্দেশ দিয়েছেন তা মেনে চলা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Garbage Jalpaiguri District Magistrate
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE