প্রতীকী ছবি।
ফের ধরা পড়ল বেআইনি সোনা। পাচারের অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয়েছে ভিন্ রাজ্যের দুই বাসিন্দাকে। শনিবার রাতে ডাউন ব্রক্ষ্মপুত্র মেলে অভিযান চালিয়ে সোনা উদ্ধার করে ওই দু’জনকে ধরে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা শাখার গোয়েন্দারা (ডিআরআই) গোয়েন্দা সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া সোনার মূল্য এক কোটি টাকারও বেশি। গুয়াহাটি থেকে দিল্লিতে তা পাচার হচ্ছিল। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ধৃতরা হল রাজস্থানের বাসিন্দা মাঙ্গি লাল এবং যোগেশ সোনি। রবিবার তাদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে ৫ দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক। সম্প্রতি প্রায় ১৫ কোটি টাকার সোনা এবং ৭০ লক্ষ টাকার বিদেশি সিগারেট উদ্ধার হয়েছিল।
আদালত এবং ডিআরআই সূত্রে খবর, প্রায় দু’কেজি সোনা নিয়ে গুয়াহাটি থেকে কোভিড স্পেশাল ব্রহ্মপুত্র মেলে চড়ে দিল্লির দিকে যাচ্ছিল ধৃতরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোয়েন্দারা অভিযান চালান এনজেপি স্টেশনে। ধৃতদের হাঁটুর মধ্যে লাগানো বিশেষ ক্যাপে সোনা লুকনো ছিল। ডিআরআই সূত্রে খবর, সোনাগুলি বিদেশি। সেগুলিতে সুইৎজারল্যান্ডের ‘মার্ক’ রয়েছে। মায়ানমার দিয়ে অসম সীমান্ত হয়ে সেগুলি শিলিগুড়িতে ঢুকেছিল বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের আইনজীবী তন্ময় মিত্র জানান, পাচারের অভিযোগ ঠিক নয়। তাঁরা জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। উভয়পক্ষের আর্জি শোনার পর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম ফতেমা ফিরদৌস।
১৬ আগস্ট একইভাবে ২৬ কেজি সোনা পাচারের অভিযোগে ডিআরআই মহারাষ্ট্রের তিন যুবককে গ্রেফতার করেছিল। সোনার মূল্য ছিল প্রায় ১৫ কোটি টাকা। সেই মামলা এখনও চলছে। গত সপ্তাহে শুল্ক ছাড়াই প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার বিদেশি সিগারেট নিয়ে দিল্লির দিকে যাওয়ার সময় ফাঁসিদেওয়ায় দু’জন ধরা পড়ে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বিদেশি সোনা পাচারের একাধিক চক্র সক্রিয় হয়েছে সীমান্ত এলাকায়। আগে সীমান্ত থেকে ডিলারের হাত পর্যন্ত পৌঁছে দিত চোরাকারবারিরাই। এখন সেই কাজে দুটি বা তিনটি আলাদা আলাদা দল কাজ করছে। গত বছর ডিআরইয়ের হাতেই এরকম বেশ কয়েকটি পাচারের ঘটনা ধরা পড়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy