Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বৃষ্টির ভয়ে ভিড় শুরু পঞ্চমীতেই

আকাশের মুখ ভার হয়ে উঠছে মাঝে মধ্যেই। দুপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে দু-এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায়, কেউ আর ঝুঁকি নিতে রাজি নন। চতুর্থী থেকেই যে ঢল নামতে শুরু করেছিল, পঞ্চমীতে তা কয়েকগুণে গিয়ে দাঁড়াল।

ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৮ ০২:২৪
Share: Save:

আকাশের মুখ ভার হয়ে উঠছে মাঝে মধ্যেই। দুপুরে বিক্ষিপ্ত ভাবে দু-এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায়, কেউ আর ঝুঁকি নিতে রাজি নন। চতুর্থী থেকেই যে ঢল নামতে শুরু করেছিল, পঞ্চমীতে তা কয়েকগুণে গিয়ে দাঁড়াল।

রবিবার পঞ্চমীর সন্ধে থেকেই সেই ভিড়ের স্রোত শুরু হয়। রাতের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ভিড়। বিশেষ করে বিগ বাজেটের পুজো নিউটাউন ইউনিট, গুড়িয়াহাটি ক্লাব থেকে শুরু করে কোচবিহার ক্লাব, হাজরাপাড়া তরুণ দল, ভারত ক্লাব থেকে খাগড়াবাড়ি পুজো মণ্ডপের সামনে ভিড় ছিল সব থেকে বেশি। শান্তিকুটির ক্লাব থেকে বটতলা ইউনিটেও ভিড় ছিল। সেই সঙ্গে পাঁচশো বছরের পুরনো কোচবিহারের বড়দেবীর মন্দিরেও ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

কোচবিহার ক্লাবের কর্মকর্তাদের একজন, সুব্রত সাহা বলেন, “চতুর্থীতে সারা রাত মণ্ডপে দর্শনার্থীরা এসেছেন। পঞ্চমীতে সন্ধে থেকেই ভিড় শুরু হয়। আসলে অনেকে ভিড় এড়াতে আগেই প্রতিমা দর্শন শুরু করেছেন। আবার বৃষ্টির আশঙ্কা থেকেও কেউ ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।” নিউটাউন ইউনিটের সম্পাদক অভিষেক সিংহ রায় জানান, চতুর্থীতে তাঁদের পুজোর উদ্বোধন হয়। ওইদিন ভিড়ে ঠাসাঠাসি ছিল মণ্ডপ। তিনি বলেন, “আসলে সবাই উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিলেন।” পঞ্চমীর সন্ধ্যায় দর্শনার্থীদের একজন, নরেশ দাস গুড়িয়াহাটি ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, “এক বছর পর পুজো এসেছে। শিল্পীরা রাত জেগে মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরি করেছেন। তা যদি দেখতে না পারি আফশোস থেকে যাবে। আর আকাশের যা মতিগতি দেখছি, তাতে ভাল লাগছে না। তাই বেরিয়ে পড়েছি।”

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চমী ও ষষ্ঠীর দিন হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সপ্তমীতে ঠিক থাকলেও অষ্টমীতে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর বাইরে আকাশ মাঝে মধ্যেই মেঘলা হয়ে যাওয়ায় আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের। পঞ্চমীর দিন দুপুর ১টা নাগাদ ঘুঘুমারি সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রায় পনেরো মিনিট ধরে প্রবল বৃষ্টি হয়। ঘুঘুমারি পুজো কমিটির উদ্যোক্তা গৌতম দত্ত বলেন, “মণ্ডপসজ্জার কাজ শেষের দিকে। বৃষ্টিতে খানিকটা কাজ বিঘ্নিত হয়।”

বিগ বাজেটের পুজোগুলির ইতিমধ্যেই উদ্বোধন হয়েছে। শহরে পুজোর লড়াই শুরু হয়েছে। এক দর্শনার্থী উর্মিলা দত্ত বলেন, “পুজো তো শুরু হয়েই গিয়েছে। তাই বাড়িতে বসে থেকে কী লাভ! আর বৃষ্টি হলে নতুন জামাকাপড় পরা চাপ হয়ে যাবে। তাই আগেভাগেই বেরিয়ে পড়া।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE