প্রতীকী ছবি
রাজ্যের অনুদান পেয়ে কোনও কমিটি মণ্ডপের পথে টুনির মালা ঝুলিয়ে দিতে বলেছে ডেকরেটরকে। কেউ কুমোরটুলিতে ফোন করে বলেছেন, “প্রতিমাকে ডাকের সাজ পরিয়ে দিন।” হাইকোর্টের রায়ের পরে এখন মাথায় হাত এই সব ছোট, মাঝারি, এমনকি বড় পুজো কমিটিগুলোরও। মাস্ক, স্যানিটাইজ়ারেই করতে হবে ৭৫ ভাগ খরচ। তা হলে বাড়তি ব্যয়ের কী হবে? তাঁদের কথায়, অনুদানের টাকা পেয়ে যে আগাম খরচের ব্যবস্থা করা হয়েছে, তার কী হবে, কে জানে!
জলপাইগুড়ি শহরের একটি পুজো এ বারে ঠিক করেছিল, ঘট পুজো করবে। অনুদানের টাকায় ডাকের সাজের প্রতিমা অর্ডার দিয়েছে। এখন তাদের কথায়, “কী হবে ভাবতেই পারছি না।” আরেকটি বড় বাজেটের পুজো রাস্তা জুড়ে টুনির মালা সাজাতে বলেছিল। ওই পুজো কমিটির কথায়, “অনুদানের টাকা ছাড়া এই ব্যয় বহনের ক্ষমতা আমাদের নেই।” মালবাজারের একটি পুজো অনুদানের টাকায় তিনটি হোমের আবাসিকদের নতুন জামা দেওয়ার কথা ভেবেছে। তা-ও ভেস্তে যাওয়ার জোগাড়। জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “আমরা সব পুজো কমিটিকে মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার বিলি করতে বলেছি।”
শিলিগুড়িতেও একই অবস্থা। পুজোর কর্তারা এখন রসিদের জন্য ছুটছেন। তাঁদের দাবি, মাস্ক কিনলে রসিদ মিলবে। কিন্তু কোনও কাউকে দিয়ে ঝাড়পোছ বা জীবাণুমুক্তের কাজ করালে তো আর রসিদ মিলবে না। যা পরিস্থিতি, তাতে সেই রসিদও জোগাড় করতে হবে বলে মনে করছেন তারা। একটি ক্লাব সম্পাদক বাবলু পাল চৌধুরী বলেন, ‘‘যেগুলি পাওয়া যাবে না সেগুলি আলোচনা ঠিক করা হবে।’’ এত দিন ধরে যে রসিদ ছাড়াই কাজ চলছিল, তা আর চলবে না, বলছেন ওই ক্লাবের কর্তারা।
অনেক ছোট পুজো আবার করোনা পরিস্থিতির কথা ভেবে অনুদানের টাকাতেই পুজো করার পরিকল্পনা নেয়। কিন্তু কোর্টের নির্দেশের পরে তারা সমস্যায় পড়েছে। কী করবেন? ‘‘দেখা যাক, কী পথ বার হয়,’’ বলেন এক পুজো কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy