Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দিনরাত কাজ, ব্যস্ত শেফালিরা

মহিলারা চান, সরকার হস্তশিল্পে জোর দিলেও তাঁদের তৈরি সামগ্রী বিক্রির জন্য কোনও স্থায়ী বাজার করেনি। পুজোয় তাঁদের জিনিস বিক্রি করার জন্য প্রশাসন কোনও স্টল তৈরি করে দিক।

ব্যস্ততা: কাজ করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। নিজস্ব চিত্র

ব্যস্ততা: কাজ করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। নিজস্ব চিত্র

রাজকুমার মোদক
ফালাকাটা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:২০
Share: Save:

রেখা, শেফালিদের হাতে আর সময় বেশি নেই। পুজো যে এসে গেল। তার আগেই কাঁথা স্টিচ, ফ্যাব্রিকের কাজ করা শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, বিভিন্ন ফুল ও অলংকার সামগ্রীর কাজ শেষ করতে হবে।

ধূপগুড়ির এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১৫ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ৩০ জন মহিলা তিন মাস ধরে কাজ চলেছেন। পুজোর বাজার ধরতে নিজেদের বাড়ির পাশাপাশি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও কাজ করছেন তাঁরা। নিজেদের তৈরী সামগ্রী বিক্রি করে স্বাবলম্বী হতে চান তাঁরা। বাজার থেকে এক রঙের শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, টেবিল ঢাকার কাপড় কিনে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চলছে উল, সুতো দিয়ে কাঁথাস্টিচ ও ফ্যাব্রিকের কাজ। চলছে পুঁতি, উল ও সুতো দিয়ে অলঙ্কার ও রকমারি ফুল তৈরির কাজ।

মহিলারা চান, সরকার হস্তশিল্পে জোর দিলেও তাঁদের তৈরি সামগ্রী বিক্রির জন্য কোনও স্থায়ী বাজার করেনি। পুজোয় তাঁদের জিনিস বিক্রি করার জন্য প্রশাসন কোনও স্টল তৈরি করে দিক।

ধূপগুড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লীতে নিজের বাড়িতে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলেন কাঁথা স্টিচ, ফ্যাব্রিক ডিজাইনার সোমা চক্রবর্তী। তিনি বন্ধ চা বাগানের বেকার মেয়েদের হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেন। কখনও সরকারি সহযোগিতায়, কখনও বা নিজের উদ্যোগে। সোমাদেবী বলেন, “প্রায় ১২ বছর ধরে আমার বাড়িতেই চলছে মেয়েদের স্বাবলম্বী করে তোলার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এক রঙের যে কোনও কাপড়ের উপর কাঁথাস্টিচ, ফ্যাব্রিক করে ও নানা ধরনের অলংকার তৈরি করে তা মানুষের পছন্দের উপযুক্ত করে তোলা হয়। পুজা এসে যাওয়ায় কাজের চাপ বেড়েছে। ”

কাপড়ের উপর কাঁথা স্টিচ, ফ্যাব্রিক করতে আসা ধূপগুড়ির গাদংয়ের মঙ্গলদীপ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা শেফালি রায় ও বারোঘরিয়ার দিকবিজয়ী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যা রেখা রায় বলেন, “আমরা এখন বাড়িতেও কাজ করছি। কাঁথা স্টিচ ও ফ্যাব্রিকের কাজ করা শাড়ি, সালোয়ার কামিজ ও চেরা উল,পুঁতি দিয়ে তৈরি নানা অলংকার সামগ্রীর চাহিদা বাজারে খুব বেশি। পুজার বাজার ধরতে দিনরাত কাজ করে চলেছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE