জুটি: লক্ষ্মী ও উর্মিলা।নিজস্ব চিত্র
শুধু হাতির পিঠের চড়ে জঙ্গল ঘোরা নয়। সঙ্গে মাহুত, পাতাওয়ালেদের মুখে ওদের অজানা গল্প শোনা! তারপর ফলমূল, কলাপাতা খাইয়ে, শেষে কেক কেটে তাদের জন্মদিন পালন। কাল, রবিবার বিশ্ব হাতি দিবসে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কের দুই কুনকি হাতি লক্ষ্মী ও উর্মিলাকে নিয়ে এমনই পরিকল্পনা বন কর্তাদের। তাঁরা জানান, ১২ অগস্ট বিশ্ব হাতি দিবসের দিনটিকে হাতিদের জন্মদিন বলেই ধরা হয়। তাই ওই দিনে হাতির সঙ্গে শিশু-কিশোরদের সময় কাটানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তরাইয়ের বন দফতরের উদ্যোগে হাতিদের নিয়ে এমন পরিকল্পনা এবারই প্রথম।
সাফারি পার্কের কর্তারা জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে। পার্কে আসা শিশুদের দেওয়া হবে হাতির মুখোশ। সকাল সকাল দু’টি হাতিকে স্নান করিয়ে সাজিয়ে নিয়ে আসা হবে পার্কের মূল চত্বরে। তারপরেই শুরু হবে অনুষ্ঠান। বেঙ্গল সাফারির অধিকর্তা অরুণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ নতুন প্রজন্মের কাছে হাতির নানা দিক তুলে ধরতেই এই অনুষ্ঠান।’’ তিনি জানান, আমরা সাফারি পার্ক লাগোয়া তুড়িবাড়ির স্কুলের ছেলেমেয়েদের ডেকেছি। পার্কে আসা শিশুদেরও এতে সামিল করা হবে। হাতি নিয়ে দু’লাইন লিখলে রয়েছে পুরস্কারও।
লক্ষ্মী ও উর্মিলাকে চারজন পাতাওয়ালা, জলদাপাড়ার প্রবীণ মাহুত রঘু রায় দেখাভাল করেন। জঙ্গলি হাতির নানা গল্প, ঘটনা রঘুবাবুর জানা। শিশুদের তিনি সেসব বলবেন। বনকর্মীরা জানান, জন্মদিনে অবশ্য উর্মিলা আর লক্ষ্মীর কোনও কাজ নেই, খেয়েই কাটাবে দু’জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy