মাত্র সাত বছরে ভাঙাচোরা লোহালক্কর, প্লাস্টিকের ব্যবসায়ী থেকে শহরের বুকে বিলাসবহুল পানশালার মালিক। বহুতলের প্রোমোটারি থেকে পুরসভার সিংহভাগ কাজের বরাত পাওয়া ঠিকাদার এবং রাজ্যের শাসকদলের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। ধর্ম পাসোয়ানের উত্থানের কাহিনি সিনেমার গল্পের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। তাঁর একাধিক বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে একটি পুরসভায় ভাড়া দেওয়া। তাতে চড়েন খোদ চেয়ারম্যান। জেলা তৃণমূলের একাধিক নেতার সঙ্গে বিমানে যাতায়াতের সঙ্গী ধর্ম পাসোয়ান শহরে ঘুরতেন সাদা স্কুটারে। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশে তাঁর এতটাই প্রভাব যে, কেউ তাঁকে হেলমেট পরতে দেখেনি। টাউন স্টেশন লাগোয়া যে ভবনে তৃণমূলের নতুন জেলা অফিস হবে বলে ঘোষণা হয়েছে, শোনা যায় তার মালিকও ধর্মই। সেই ধর্মের পানশালা মঙ্গলবার পুলিশ সিল করার পরে তৃণমূলের একাংশের দাবি, দলে ‘শুদ্ধি’ শুরু হল!
২০১২ সালে মদের দোকান নিয়ে বির্তকে জড়ান ধর্ম। শোনা যায়, তখন জলপাইগুড়ি এক বাম নেতার পুত্রের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। জয়ন্তী পাড়ার বাসিন্দাদের আন্দোলনে ছ’মাস পরে সে দোকান বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে জলপাইগুড়ি পুরসভার ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং ঠিকাদারি শুরু। জেলা কংগ্রেসের ১৬ জনের কমিটিতেও ছিলেন তিনি। পুরসভার রাশ কংগ্রেসের হাত থেকে তৃণমূলে গেলে ধর্মও দলবদলান।
নিজের প্রভাব বোঝাতে সম্প্রতি এক মন্ত্রীর সঙ্গে তোলা ছবিও নিজের ফেসবুকে দিয়েছেন ধর্ম। তার অনেক আগেই অবশ্য কোতোয়ালি থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে দু’টি পানশালা ঘোলেন। কাছেই মন্দির, স্কুল থাকলেও আবগারি দফতরের অনুমতি পেতে অসুবিধা হয়নি। এ দিন জেলার এসপি অভিষেক মোদী দাবি করেন, ওই পানশালার মালিক গ্রেফতার হবেন। ধর্মের মোবাইল এ দিন বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার তিনি দাবি করেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy