পানশালায় পরিদর্শনে গিয়ে বাসিন্দাদের একাংশের হাতে আক্রান্ত হলেন আবগারি দফতরের অফিসারেরা। শনিবার রাতে জলপাইগুড়ি লাগোয়া রাজগঞ্জের ঘটনা। পানশালা লাগোয়া অনশপও রয়েছে। যেখানে মদ বিক্রি হয়। আবগারি দফতর সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ভোট বিধির কারণে প্রতিটি মদের দোকানে বিক্রির হিসেব নিতে হচ্ছে। গত শনিবার রাতে আবগারি দফতরের অফিসাররা জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি পানশালায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বলে জানানো হয়েছে। সে সময়ই কেন রাতের বেলায় অভিযান হচ্ছে অভিযোগ তুলে এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা আবগারি অফিসারদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলেরও। অভিযোগ, পরিদর্শনকারী অফিসারদের ওপর চাপ তৈরি করতেই বিক্ষোভের পরিকল্পনা হয়। এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সেই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এলাকার আরও কয়েকটি মদের ঠেকে অভিযান চালাতে হবে বলেও দাবি তোলেন বাসিন্দারা। ওই পানশালায় ভাঙচুরও চালানো হয় বলে অভিযোগ।
সে সময়ই অফিসারদের হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অফিসারদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। থানার সামনে গাড়ি থেকে নামানোর সময় কয়েকজন বাসিন্দা অফিসারদের মারধর করে বলে অভিযোগ। এক পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। অন্য দিকে বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় দেদার অবৈধ মদের ঠেক চললেও, সেখানে অভিযান না চালিয়ে আবগারি দফতরের অফিসাররা পানশালায় বসে ছিলেন। সে কারণেই বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
আবগারি দফতরের তরফে এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে এলাকার তৃণমূল নেতা-কর্মীদেরও নাম রয়েছে। তৃণমূলের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, বিক্ষোভের ঘটনায় দলের কেউ যুক্ত নয়। এই ঘটনার দায় দল নেবে না বলেই জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতারা দাবি করেছেন। জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
গত শনিবার রাত এগারোটার পরে বিক্ষোভের জেরে রাজগঞ্জ থানা উত্তাল হয়ে ওঠে। জলপাইগুড়ি থেকে বাড়তি পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। বাসিন্দাদের একাংশের দাবি জাতীয় সড়কের দু’ধারে সার দিয়ে অবৈধ মদের ঠেক গজিয়ে উঠেছে। সে সব নিয়ে আবগারি দফতর অভিযান না চালানোয় ক্ষোভ বাড়ছিল। আবগারি দফতরের দাবি, পানশালায় পরিদর্শনের সময় এক স্থানীয় নেতা আবগারি অফিসারের কাছে গিয়ে হম্বিতম্বি করতে থাকে। ওই অফিসার নেতাকে চিনতে পারেননি। নেতাকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বললে তিনি লোক জড়ো করে বিক্ষোভ শুরু করেন। আবগারি দফতরের জলপাইগুড়ির সুপার মানিক সরকার বলেন, ‘‘ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আমাদের এক অফিসারকে হেনস্থা করা হয়েছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।’’ অন্যদিকে, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতা তথা প্রদেশ তৃণমূলের সম্পাদক কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দল এমন কোনও ঘটনা সমর্থন করে না। সরকারি আধিকারিকরা তাঁদের কাজ করবেন। কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল পদক্ষেপ করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy