Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

হাসপাতালে ভুয়ো নিয়োগ

গত মাসেই মালদহে দু’জন ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার স্বাস্থ্য দফতরে ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ উঠল। মালদহ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার সাক্ষর করা একটি নিয়োগের নির্দেশনামা জেলায় ছড়ানো হয়েছে। যেখানে লেখা হয়েছে যে এ বছরের জুন মাসের মধ্যে মালদহ জেলার মোট ২০টি ব্লক ও প্রাথমিক হাসপাতালে মোট ৭০ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ করা হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭ ০১:৫৩
Share: Save:

চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে ভুয়ো নিয়োগ চক্রের হদিস পেতে তদন্ত শুরু করল পুলিশ। কিন্তু জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সই জাল করা নিয়োগপত্রে যে আট জনের নাম রয়েছে, তাঁদের কোনও ঠিকানা সেখানে না মেলায় প্রাথমিকভাবে আতান্তরে পড়েছে পুলিশ। তবে বিভিন্ন সূত্র ধরে এই আট জনের মধ্যে অন্তত একজনের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করছে তাঁরা। পাশাপাশি, এ মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট ওই দু’টি হাসপাতালে ওই নামে কেউ কাজে যোগ দিতে যায় কি না সে দিকেও নজর রাখা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও বিষয়টি নিয়ে আলাদাভাবে খোঁজ নিচ্ছেন।

গত মাসেই মালদহে দু’জন ভুয়ো চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার স্বাস্থ্য দফতরে ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ উঠল। মালদহ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তার সাক্ষর করা একটি নিয়োগের নির্দেশনামা জেলায় ছড়ানো হয়েছে। যেখানে লেখা হয়েছে যে এ বছরের জুন মাসের মধ্যে মালদহ জেলার মোট ২০টি ব্লক ও প্রাথমিক হাসপাতালে মোট ৭০ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি, মালদহ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সাক্ষর করা একটি নিয়োগপত্রও মিলেছে। এখানে রয়েছে, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বাঙিটোলা ব্লক হাসপাতালে চারজন ও মৌলপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চারজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে নিয়োগ করেছেন এবং তাঁদের জুন মাসে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। সেই নিয়োগপত্রে আটজনের নামও রয়েছে।

বাঙিটোলা হাসপাতালের তালিকায় নাম রয়েছে সামসুল হক, সেমি খাতুন, বাপন পাল ও আমিনুল হকের। মৌলপুর হাসপাতালের তালিকায় নাম রয়েছে রাজু সাহা, স্বপ্না দাস, বিনোদ তেওয়ারি ও রীতা দাসের। যদিও নামের পাশে ঠিকানা নেই। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বুধবার রাতেই ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ করায় তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁর দাবি, পুরো ব্যাপারটিই ভুয়ো।

এ দিকে নিয়োগপত্রে উল্লিখিত নামগুলির সঙ্গে কোনও ঠিকানা না থাকায় তাঁদের খোঁজ পেতে হিমসিম খাচ্ছে পুলিশ। একজনকে পাওয়া গেলেই চক্রের সন্ধান পেতে দেরি লাগবে না বলে মনে করছে তারা। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘ভুয়ো নিয়োগপত্রে যাঁদের নাম রয়েছে সেগুলিও ভুয়ো কী না সেটাও সন্দেহের বিষয়। তবে সেই নামে কেউ কাজে যোগ দিতে আসছে কি না সেটাই দেখার।’’ তাঁদের ধারণা, ওই নামগুলি দেখিয়ে জেলার কর্মপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলতে পারে চক্রটি। পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। এর বাইরে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE