Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভুয়ো অ্যাকাউন্টে টাকা গায়েব পিএফের, ক্ষোভ

রায়ডাক চা বাগানের শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তছরুপ কাণ্ডে যা রীতিমতো সবাইকে অবাক করে দিয়েছে সেটা ব্যাঙ্কের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে শ্রমিকদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে পিএফের টাকা গায়েব করা হয়েছে। শ্রমিকদের অজান্তে সে টাকা কী ভাবে গায়েব হচ্ছে প্রশ্ন সেটাই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শামুকতলা শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৫ ০১:৪৬
Share: Save:

রায়ডাক চা বাগানের শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা তছরুপ কাণ্ডে যা রীতিমতো সবাইকে অবাক করে দিয়েছে সেটা ব্যাঙ্কের ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা গেছে শ্রমিকদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে পিএফের টাকা গায়েব করা হয়েছে। শ্রমিকদের অজান্তে সে টাকা কী ভাবে গায়েব হচ্ছে প্রশ্ন সেটাই।

ব্যাঙ্কের কর্মীদের একাংশ জড়িত না থাকলে যে এটা সম্ভব নয় সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন সকলেই।আর এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে কিয়োস্কো ব্যাঙ্কিং সিস্টেম বা কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টগুলিকে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী ওই কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট গুলিতে অ্যাকাউন্ট খোলা যায় শুধুমাত্র গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সার্টিফিকেট দিয়ে।পিএফের টাকা তছরুপ চক্র সেই সুযোগে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ভূয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে শ্রমিকদের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা গায়েব করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ।যদিও রায়ডাক পঞ্চায়েতের প্রধান অভিযোগ জানান, অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা।

অভিযোগ, বেশীর ভাগ ভূয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে মারাখাতা এলাকায় একটি রাস্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্টে। ওই সার্ভিস পয়েন্টের বিরুদ্ধে পুলিশও অভিযোগ পায়। কিন্তু ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে সার্ভিস পয়েন্টের কর্তা পলাতক। তাঁর বাড়ি কামাখ্যাগুড়িতে।বাড়িতে বা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ব্যাঙ্কের ওই সার্ভিস পয়েন্টের কর্তার সাহায্যে শ্রমিকদের ওই ভূয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে শ্রমিকদের লক্ষ লক্ষ পিএফের টাকা গায়েব করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

শ্রমিকদের অভিযোগ, পোস্ট অফিস ও ব্যাঙ্কের এক শ্রেনীর কর্মী এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের মদতে দিনের পর দিন শ্রমিকদের প্রভিডেন্টের টাকা তছরূপের প্রক্রিয়া চললেও এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। এটাই প্রথম নয় এর আগে বেশ কয়েকবার এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।বেশ কয়েকটি মামলা হয়।এক কাপড় ব্যবসায়ী গ্রেফতার হন।এর পরেও এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে কোন ব্যাবস্থা না নেওয়া হয়নি।

ডূয়ার্স চা বাগান ওয়ার্কাস ইউনিয়নের সম্পাদক দীপক দাসের অভিযোগ, রায়ডাক চা বাগানের অবসর প্রাপ্ত শ্রমিক বন্ধাইন তিরকে গত বছর অবসর নেন।পিএফের একটি টাকাও তিনি তোলেন নি।অথচ খোঁজ নিয়ে দেখেন তাঁর অজান্তে পিএফের ২ লক্ষ ৯৭ হাজার ৬৫১ টাকা তাঁর নামে ভূয়ো অ্যাকাউন্ট বানিয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে। একই ভাবে রেজিনা টপ্পো ও জেরোথিয়া কুজুর কে মৃত দেখিয়ে ৫০ হার ও ৬০ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।ব্যাঙ্কের কর্মীদের মদত ছাড়া এভাবে টাকা তোলা সম্ভব নয়।তাই আমরা চাই এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে এর সঙ্গে জড়িতদের প্রত্যেকের শাস্তি ও শ্রমিকদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করা হোক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE