সীমান্তে উদ্ধার হওয়া জালনোট। নিজস্ব চিত্র
মালদহের সীমান্তবর্তী এলাকায় জালনোট উদ্ধারের ঘটনা অব্যাহত। রবিবার রাতে ফের জালনোট মিলল মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার শব্দলপুর গ্রামে। বিএসএফ অভিযান চালিয়ে প্রায় দু’লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার করে। তবে ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি বিএসএফ।
চলতি বছরের মাত্র একমাসের মধ্যেই শুধুমাত্র সীমান্ত এলাকা থেকেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকার নয়া দু’হাজারের জালনোট। ফলে সীমান্ত এলাকায় ফের জালনোটের কারবারিরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে দাবি গোয়েন্দা বিভাগের কর্তাদের। বিএসএফের এক কর্তা বলেন, “জালনোট পাচার রুখতে সীমান্তে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। তাই উদ্ধার হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার জালনোট।” জালনোট উদ্ধারের ঘটনা ঘটলেও কেন অধিকাংশ ক্ষেত্রে অধরা মূল কারবারিরা? তিনি বলেন, “গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটছে। তবে কারবারিরা কখনও ওপার থেকে নোট এ পারে ছুড়ে দেয়। আবার কখনও সীমান্তবর্তী গ্রামের সাধারণ মানুষকেও কাজে লাগায় তারা।”
নোট বাতিলের জেরে জালনোটের কারবার কমবে বলে দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বাস্তবে অবশ্য মাত্র দু’মাস বন্ধ ছিল জালনোটের কারবার। তারপরে এখন ফের মালদহের সীমান্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে জালনোট পাচার চক্র। সীমান্তে দেদার উদ্ধার হচ্ছে নয়া দু’হাজারের জালনোট।
রবিবার রাতে সীমান্ত এলাকায় মোটর বাইকে এক যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বিএসএফের ২৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের কর্তব্যরত জওয়ানেরা। তাঁরা পিছু নিলে মোটরবাইক নিয়ে পালিয়ে যায় সন্দেহ জনক ওই যুবক। তারপরেই একটি প্যাকেট থেকে উদ্ধার হয় জালনোটগুলি। মাত্র এক মাসের মধ্যে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার জালনোট উদ্ধার হয়েছে সীমান্তে। আর গ্রেফতার হয়েছে একজন। এ ছাড়া নোটবন্দির এক বছরের মধ্যে শুধুমাত্র সীমান্ত এলাকায় উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার জালনোট।
বিএসএফের দাবি, ওই কারবারি নোটগুলি হাত বদলের উদ্দেশ্যে এলাকায় হাজির হয়েছিল বলে প্রাথমিক অনুমান। তবে অন্ধকার থাকায় মোটরবাইকের নম্বর দেখতে পায়নি বিএসএফ। সোমবার উদ্ধার হওয়া নোটগুলি বিএসএফ তুলে দেয় পুলিশকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy