Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ক্ষোভে নির্দল প্রার্থী পাঁচ তৃণমূল নেতা

বিদায়ী চেয়ারম্যান ও তাঁর চার আত্মীয় এবারের পুরাতন মালদহ পুরসভার তৃণমূলের প্রার্থী। তাই পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সহ ৫ জন তৃণমূল নেতা নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। বুধবার মনোনয়নও জমা দিলেন তাঁরা। প্রতিবাদী নাগরিক মঞ্চ গড়ে লড়াই করবেন তাঁরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৫ ০৪:৩৬
Share: Save:

বিদায়ী চেয়ারম্যান ও তাঁর চার আত্মীয় এবারের পুরাতন মালদহ পুরসভার তৃণমূলের প্রার্থী। তাই পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সহ ৫ জন তৃণমূল নেতা নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। বুধবার মনোনয়নও জমা দিলেন তাঁরা। প্রতিবাদী নাগরিক মঞ্চ গড়ে লড়াই করবেন তাঁরা।

পুরাতন মালদহের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বশিষ্ঠ ত্রিবেদী বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করছি। বিদায়ী চেয়ারম্যান দশমাস আগে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। দলের পুরোনো কাউকে প্রার্থী না করে তিনি শুধু নিজের পরিবারের লোকেদের প্রার্থী করেছেন। জেলা নেতাদের বারবার বিষয়টি বলা হয়েছে। তবু দল কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তাই আমরা নির্দল হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছি।”

বিদায়ী চেয়ারম্যান তথা টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিভূতি ঘোষ পাল্টা কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন ব্লক সভাপতিকে। তিনি বলেন, “ শহরে ওদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। মানুষ তাদের প্রার্থী হিসেবে চাইছেন না। তাই তাদের টিকিট দেওয়া হয়নি। ওঁরা নির্দল হয়ে দাঁড়ালে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। উল্টে আরও ভালো হবে।” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা পরিবারতন্ত্রের অভিযোগও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন বিক্ষুব্ধ নেতাদের প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য বোঝাবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “বুঝিয়ে কাজ না হলে দলীয় পর্যায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

২০১০ সালে পুরসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন বিভুতিবাবু। সেই সময় তাঁর নেতৃত্বে ১৮টি ওর্য়াডের মধ্যে মাত্র ছয়টি ওর্য়াড কংগ্রেস পেয়েছিল। সেই বছর তৃণমূল ১৭টি আসনে প্রার্থী দিলেও কোনও আসন পায়নি। ১০ মাস আগে বিভূতি বাবু তাঁর অনুগত কাউন্সিলারদের নিয়ে যোগদান করেন তৃণমূলে। তার পরে তাঁরা বামেদেরও দল ভাঙিয়ে চার কাউন্সিলরকে তৃণমূলে নিয়ে আসেন। ফলে বামফ্রন্টের আসনসংখ্যা ১২ থেকে কমে আটটি হয়ে যাওয়ায় পুরবোর্ডের দখল নেয় তৃণমূল। চেয়ারম্যানও হন বিভূতিবাবু। তাঁকে তৃণমূলের টাউন সভাপতিও করা হয়।

এবারও ১৩ নম্বর ওর্য়াড থেকে লড়াই করছেন বিভূতি বাবু। তাঁর আত্মীয়দের মধ্যে প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন ভাইপো কার্তিক ঘোষ। কার্তিক বাবু প্রার্থী হয়েছেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। কার্তিক বাবু এই ওর্য়াডেরই বিদায়ী কাউন্সিলর। তবে রাজনীতিতে আনকোরা বিভূতিবাবুর ভাগ্নে শঙ্কু সিংহ ১২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শিল্পী ঘোষ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শীলা ঘোষও তাঁর আত্মীয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE