Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

হড়পায় বিচ্ছিন্ন চালসায় যোগাযোগ এখনও ব্যাহত

হড়পা বানে বাগানের সঙ্গে বাইরের এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে অস্থায়ী ভাবেও যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি। শনিবার রাতে মেটেলি ব্লকের চালসা চা বাগানের একটি সেতু এবং ৩টি কালভার্ট ভেঙে পড়ায় বাগানটি কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সাইকেল, মোটরবাইক ছাড়া আর কোনও যান চলাচল করার মতো পরিস্থিতি না থাকায় বাগানের ন্যূনতম পরিষেবা প্রদানও ব্যাহত হয়ে পড়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৫ ০২:০৯
Share: Save:

হড়পা বানে বাগানের সঙ্গে বাইরের এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে অস্থায়ী ভাবেও যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি। শনিবার রাতে মেটেলি ব্লকের চালসা চা বাগানের একটি সেতু এবং ৩টি কালভার্ট ভেঙে পড়ায় বাগানটি কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সাইকেল, মোটরবাইক ছাড়া আর কোনও যান চলাচল করার মতো পরিস্থিতি না থাকায় বাগানের ন্যূনতম পরিষেবা প্রদানও ব্যাহত হয়ে পড়ে। রবিবারেই বাগান পরিদর্শনে আসেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক পৃথা সরকার-সহ পদস্থ আধিকারিকেরা। কিন্তু সোমবারও যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব না হওয়ায় হতাশা ছড়িয়েছে চা বাগানে। বাগানের শ্রমিককল্যাণ আধিকারিক রাহুল শর্মা বলেন, ‘‘স্কুলবাস বাগান থেকে বেরোতে পারেনি। বাগানের চা, তৈরি অবস্থায় থাকলেও তা বাজারে আনা যাচ্ছে না। বাগানের কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে মালবাজারের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্যও অ্যাম্বুল্যান্সের বদলে মোটরবাইকই সম্বল। এই অবস্থায় আমরা দ্রুত অস্থায়ী ভিত্তিতে কালভার্ট এবং সেতুর মেরামত চাইছি।’’ উল্লেখ্য, চালসা চা বাগান এলাকাতেই ৫ হাজার জনবসতি রয়েছে। চালসার যোগাযোগবিচ্ছিন্ন অবস্থা কাটাতে এ দিন জেলাপরিষদ এবং সেচ দফতরের বাস্তুকারেরা বাগান পরিদর্শনে যান। মালবাজারের মহকুমাশাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি বলেন, ‘‘বাস্তুকারদের থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। স্থায়ী মেরামতে সময় লাগলেও কাঠের পাটাতন দিয়ে যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে সেতু মেরামত করা হবে। আশা করছি দ্রুতই যোগাযোগ তৈরি করা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jalpaiguri flood Rahul Sharma Chelsea garden
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE