—ফাইল চিত্র।
ডুয়ার্সের বনাঞ্চলে পর্যায়ক্রমে বিশেষ ধরনের তিনশো ক্যামেরা বসাতে উদ্যোগী হয়েছে বন দফতর। এই ব্যাপারে প্রকল্প তৈরি করতে দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন বনমন্ত্রী। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডুয়ার্সের গরুমারা থেকে জলদাপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় গভীর জঙ্গলে ওই ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হবে। যাতে বন্যপ্রাণীর আনাগোনা থেকে চোরাশিকারিদের যাতায়াত সবটাই ধরা পড়বে।
ডুয়ার্সের জঙ্গলে ওই ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হলে পাহাড়ের জঙ্গল এলাকাতেও কিছু ক্যামেরা বসানোর ভাবনা রয়েছে দফতরের কর্তাদের। যেখানে বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর আনাগোনা রয়েছে বিশেষ করে বাঘের যাতায়াতের দাবি শোনা গিয়েছে, সেই সব রুটগুলিতে ক্যামেরা বসানোয় বাড়তি প্রাধান্য দেওয়ার কথা ঠিক হয়েছে। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “আধিকারিকরা সমীক্ষা করে দেখবেন কোন কোন এলাকায় ওই বিশেষ ক্যামেরা বসানো দরকার। তারপর ধাপে ধাপে তিনশো ক্যামেরা বসানো হবে।” দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলে হিসেব নেওয়ার প্রক্রিয়া হচ্ছে। দফতরের বাজেট থেকেই পর্যায়ক্রমে ক্যামেরার টাকা বরাদ্দ করা হবে। বনমন্ত্রীর দাবি, টাকার সমস্যা হবে না।
সম্প্রতি ডুয়ার্সের জঙ্গলে একাধিকবার চোরাশিকারিদের হানার ঘটনা ঘটেছে। সামনে এসেছে। গন্ডারের খড়্গ থেকে হাতির দাঁত কেটে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। চলতি সপ্তাহে গরুমারা, জলদাপাড়ায় চোরাশিকারির দল ঢুকে পড়া নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়। তার পর উত্তরের চিলৌনি চা বাগানে, এলাকায় বাঘ দেখার দাবি করেন এক গাড়ি চালক। সে নিয়েও বন প্রশাসনের অন্দরে শোরগোল পড়েছে। এক বছর আগে নেওড়াভ্যালি জঙ্গলেও বাঘের দেখা পেয়েছিলেন একজন গাড়ির চালক। তিনি তা ক্যামেরা বন্দি করেছিলেন। চিলৌনির ক্ষেত্রে অবশ্য সে রকম কোনও ছবি নেই। তাই বাস্তব ছবিটা বুঝতে, ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে, বন দফতর সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy