—প্রতীকী ছবি।
মালদহের পুখুরিয়ার নেস্তায় বিজেপি নেতার গ্যারাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিজেপির এক প্রাক্তন নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। গত সোমবার বর্ষবরণের রাতে আগুনে পুড়ে যায় গ্যারাজে রাখা বিজেপির আড়াইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সুমিত মাঝির একটি গাড়ি। তার আগে গত অগস্টেও একইভাবে ওই গ্যারাজেই আগুন লেগে সুমিতের দু’টি গাড়ি পুড়ে যায়।
দু’টি ক্ষেত্রেই শাসক দলের একাংশ জড়িত বলে বিজেপি অভিযোগ করে। পাশাপাশি, দু’বার অগ্নিকাণ্ডের পরেও অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকা জুড়ে ক্ষোভ ছড়ায়। শেষে শুক্রবার রাতে বাড়িতে হানা দিয়ে সুমিতের প্রতিবেশী তথা বিজেপির প্রাক্তন নেতা প্রতুল মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুখুরিয়ার ওসি অভিষেক তালুকদার বলেন, ‘‘ঈর্ষা ও ক্রোধের বশে ধৃত তিনি ওই কাজ করেছেন বলে জেরায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি। তিনি আগেও পাইপ চুরির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন।’’
পুলিশ ও বিজেপি সূত্রের খবর, সুমিত গাড়িগুলি পুলকার হিসেবে ভাড়া খাটানোর ব্যবসা করতেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকায় পুরনো বিজেপি নেতা হিসেবে পরিচিত প্রতুল টিকিটের অন্যতম দাবিদার হলেও দল তাঁকে বাদ দিয়ে সুমিতকে প্রার্থী করে। সুমিত জয়ীও হন। টিকিট না পেয়ে বিজেপি ছেড়ে নির্দল হয়ে সুমিতের বিরুদ্ধে লড়ে হেরে যান প্রতুল। পুলিশের জেরায় প্রতুল জানান, তারপর থেকেই সুমিতের উপর প্রতিশোধে ছক কষতে শুরু করেন তিনি। দু’বারই পাটকাঠিতে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে গ্যারাজে রাখা গাড়িগুলির উপরে ফেলে দেন প্রতুল। অগস্টের ঘটনার পরেও তাঁর প্রতি কারও সন্দেহ হয়নি দেখে ফের দ্বিতীয়বার একই ঘটনা ঘটান।
তদন্তে নেমে প্রথমেই খুব কাছের কেউ ঘটনায় জড়িত বলে সন্দেহ হয় পুলিশের। তারপর পাইপ চুরির ঘটনায় ২০১২ সালে প্রতুলের গ্রেফতারির বিষয়ে জানতে পারে পুলিশ। পাশাপাশি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুমিতের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্বের কথা জেনে পুলিশের সন্দেহ হয়।
রতুয়া-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সফিউল আলম বলেন, ‘‘আগেই বলেছিলাম, ওদের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই ঘটনাটি ঘটেছে। সেটাই সত্যি হল।’’ বিজেপির রতুয়া-২ মণ্ডল সভাপতি হংসরাজ মিশ্র বলেন, ‘‘ধৃতের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
সুমিত বলেন, ‘‘রাজনীতি পৃথক বিষয়। এ ভাবে প্রতিবেশী হয়ে ও যে এত বড় ক্ষতি করতে পারে ভাবতেই পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy