ফব প্রধান আকবর হোসেন এবং উপপ্রধান বিজেপির যুমনা সরকার। নিজস্ব চিত্র
ঘাসফুলকে ঠেকাতে পদ্ম-সিংহ জোট করে বোর্ড দখল করল। শুক্রবার উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া ব্লকের কানকি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে এই ঘটনা। এই ঘটনাকে ঘিরে গুঞ্জন উঠেছে। ফরওয়ার্ড ব্লকের জয়ী সদস্যদের দল থেকে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন নেতৃত্ব।
বিজেপি-বামেদের জোটে প্রধান নির্বাচন হন ফরওয়ার্ড ব্লক দলের আকবর হোসেন এবং বিজেপির উপপ্রধান হন যুমনা সরকার। শুক্রবার এমন বেনজির ঘটনা ঘটবে কেউ আঁচ করতে পারেননি। সকাল থেকে তৃণমূল ভেবেছিল। বিকেলে তৃণমূল কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন।
প্রশাসনিক সুত্রের খবর, এই গ্রাম পঞ্চায়েত মোট ২০টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৭, তৃণমূল ৩, ফরওয়ার্ড ব্লক ৪, সিপিএম ৩, কংগ্রেস ২ এবং নির্দল ১ আসন জয়লাভ করে ভোটে। ত্রিশঙ্কু এই বোর্ড দখল করার জন্য শাসকদল মরিয়া হয়ে উঠে। বাম সিংহ কাস্তে হাতুরির সদস্যরা বিজেপির সাথে জোট হয়েছে তা কেউই আঁচ করতে পারেননি।
তৃণমূল নেতা মিনহাজ আফরিন বলেন, ‘‘নেতাজির আদর্শে অনুপ্রাণিত দলের লোক আরএসএস পরিচালিত দলকে সমর্থন করবে, এটা মানুষ ভাল ভাবে নেবেন না। আদর্শ কথা এঁদের মুখে শোভা পায় না।’’ যদিও চাকুলিয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক দলের বিধায়ক আলি ইমরান রমজ জানান, দলের কোনও এমন সিদ্বান্ত ছিল না। বামদের বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ছিল। সেখানে শাসকদল ভয় এবং লোভ দেখিয়ে দল ভাঙিয়ে নেয়। তিনি বলেন, ‘‘এই অবস্থায় দলীয় সিদ্ধান্ত ছিল আমরা বোর্ড গঠনে বিরত থাকব। কিন্ত আমাদের দলের সদস্যরা বিজেপির সঙ্গে বোর্ড গঠন করেছে, তা আমরা মেনে নেব না। তাই এ দিনই আমরা আমাদের দলের নির্বাচিত সদস্যদের বহিষ্কার করেছি। ফরওয়ার্ড ব্লক দল নীতি আদর্শের সাথে কখনও সমঝোতা করবে না।’’
বিজেপির চাকুলিয়া ব্লক মণ্ডল সভাপতি বিশ্বনাথ মৃধার দাবি, শাসকদলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে স্থানীয় নেতৃত্ব আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের মতবিরোধ থাকলে শাসকদলের অত্যাচারের প্রতিবাদে এই জোট। তাঁরা মিলিত ভাবে এলাকার উন্নয়ন করবেন।
আবার তৃণমূল বিধায়কের খাস তালুক ইসলামপুরেই বোর্ড গঠন করল বিজেপি। শুক্রবার ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর এলাকাতে বিজয় উল্লাস করতেও দেখা গেল বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy