Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

হিমঘর কাণ্ডে গ্যাসের প্রভাবে নোনতা হয়েছে জল, অভিযোগ

শিবিরের চিকিৎসক চঞ্চল রায়ের মতে কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছেই। তবে মানসিক ভয় সবচেয়ে বেশি কাজ করছে সকলের মধ্যে। সোহাগী রায় নামে এক মহিলা হুইলচেয়ারে এসেছিলেন স্বাস্থ্যশিবিরে

শিবির: স্বাস্থ্য শিবিরে চলছে চিকিৎসা। ছবি: সন্দীপ পাল

শিবির: স্বাস্থ্য শিবিরে চলছে চিকিৎসা। ছবি: সন্দীপ পাল

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:৫০
Share: Save:

কেউ বলছেন জলের স্বাদ বদলে গিয়েছে। কারও অভিযোগ জল খেলে পেটে ব্যথা, বমি ভাব হচ্ছে। হিমঘরে গ্যাস চেম্বারে বিস্ফোরণের পরে এলাকার গাছপালার উপরেও প্রভাব পড়েছে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার ছ’দিনের মাথায় এটাই জলপাইগুড়ির জোড়দিঘি, চূর্ণকর পাড়া, দাসপাড়া, বানিয়াপাড়ার ছবি। শনিবার এলাকায় গোলঘুমটি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে একটি স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। সেখানে হিমঘর সংলগ্ন এলাকাগুলো থেকে ৩০৫ জন এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা ছিল শতাধিক। পেটে ব্যাথা, অরুচি, চোখ জ্বালা এবং শ্বাসকস্টের সমস্যার কথা বলেছেন প্রায় প্রত্যেকেই।

শিবিরের চিকিৎসক চঞ্চল রায়ের মতে কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছেই। তবে মানসিক ভয় সবচেয়ে বেশি কাজ করছে সকলের মধ্যে। সোহাগী রায় নামে এক মহিলা হুইলচেয়ারে এসেছিলেন স্বাস্থ্যশিবিরে। তিনি জানান, গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধে পেটে ব্যাথা, বমি ভাব এখনও রয়েছে তাঁর। শিখা দেবনাথ নামে জোড়দিঘির এক বাসিন্দা জানান, বাড়ির কুয়োর জল নোনতা হয়ে গিয়েছে, খাওয়া যাচ্ছে না। একই কথা বলেছে স্থানীয় বাসিন্দা বিদিপ্তা দেবনাথও। এ দিন স্বাস্থ্যশিবির থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওষুধও দেওয়া হয়। অনেকের রক্তের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। গ্যাসের প্রভাবে হিমঘর চত্বরের অধিকাংশ গাছ ঝলসে গিয়েছে বলে অভিযোগ। হিমঘরের উল্টোদিকে প্রায় ১৫০মিটার দূরে বাড়ি সঞ্জীব দাসের। তাঁর বাড়ির অধিকাংশ গাছের পাতা ঝলসে গিয়েছে। হিমঘর কর্তৃপক্ষ জানান, বাকি চেম্বার থেকে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরে ফেলা হয়েছে। আতঙ্কের কিছু নেই বলে দাবি হিমঘরের দায়িত্বে থাকা দুই কর্মী দিলীপ গোস্বামী ও কালিদাস হালদারের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Gas Cold Storage Taste Water
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE