গৌতম দেব। ফাইল চিত্র
করোনা মোকাবিলা হোক বা এলাকার উন্নয়ন-জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্লক আধিকারিকের সমন্বয় নেই দেখে প্রশাসনিক বৈঠকে বেজায় চটে গেলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। শনিবার মাটিগাড়া ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের অফিসে ওই বৈঠক হয়। সেখানে বিডিওকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন তিনি। বৈঠকে জেলাশাসক উপস্থিতি ছিলেন। ওই বৈঠকে ছিলেন
তৃণমূলের মাটিগাড়া ব্লক সভাপতি দুর্লভ চক্রবর্তীও। মন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার পরও এক বছর ধরে এলাকার একটি রাস্তার কাজ হয়নি, সেটা কেন তাঁরা জানাননি তা নিয়ে তাঁকেও ধমক দেন। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ভোলা ঘোষ পাট্টা নিয়ে কাজ হচ্ছে না বলে বোঝাতে গেলে তাঁকেও ধমক খেতে হয়।
এ দিন বৈঠকের পর মন্ত্রী বলেন, ‘‘যে জায়গাগুলোতে অসুবিধা হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কথা বললে সুবিধা হয়। কোনও রাজনৈতিক নেতা নয়। ১০০ দিনের কাজে এলাকার প্রধানদের নিয়েই কাজ করতে হবে। সে কথাই বলেছি। এটা কোনও বকাবকির বিষয় নয়।’’ নেতাদের বিষয় নিয়ে বলেন, ‘‘আমি আমার সোর্সে কিছু খবর পেয়েছি সেটা নিয়ে কথা বলেছি।’’ থমকে থাকা ১৫টি কাজের টেন্ডার করতেও এ দিন নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি ব্লকের একাধিক স্কুলে কোয়রান্টিন কেন্দ্র খোলার চেষ্টা করলে বাধা দেন স্থানীয়রা। অভিযোগ, বিডিও এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা না-বলে নিজেই কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন। শুক্রবার সুকনার কাছে ইলা পাল মেমোরিয়াল স্কুলে একই রকম ভাবে বাধা আসে। এতে কোয়রান্টিন সেন্টার করা আটকে যাচ্ছে। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বিডিও এলাকার জনপ্রতিধিদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করছেন না। এ দিন তা নিয়েও বিডিও রুনু রায়কে মন্ত্রী ভর্ৎসনা করেন। এর পর এ ধরনের পরিস্থিতি হলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবেন বলে জানান। বিডিও বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।’’
কোয়রান্টিন সেন্টার করা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘মানুষকে বোঝাতে হবে। শিলিগুড়ি মহকুমার বাকি তিনটে ব্লকে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। মাটিগাড়া ব্লকে হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিদের দেখতে বলেছি। প্রয়োজনে আমি নিজে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy