Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

দূরত্ব বজায় রেখে চলবে সাধারণ ট্রেনও

রেল সূত্রে দাবি, বাতানুকূল এবং সাধারণ কামরা এগুলিতে থাকবে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২০ ০৪:১৩
Share: Save:

শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে করে পরিযায়ী শ্রমিকরা আসতে শুরু করেছেন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। উত্তর-পূর্ব ভারতেও এসেছেন প্রচুর শ্রমিক। এরই মধ্যে ১ জুন থেকে আপ ও ডাউন পদাতিক ছাড়াও চালু হচ্ছে আরও ৫ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন। তবে নিয়মকানুন একেবারেই অন্যরকম থাকছে সেগুলিতে। নিয়মিত রুটের এই ট্রেনগুলি চলবে রোজই, কিন্তু স্পেশ্যাল হিসেবে। কামরার সব আসনেই থাকবে যাত্রী। সংক্রমণের সময় কেন সামাজিক দূরত্বের কথা রেল ভাবল না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়েছে অনলাইন বুকিং। ধাপে ধাপে চালু হতে পারে দার্জিলিং মেল এবং উত্তরবঙ্গের মত ট্রেনগুলিও।

বুধবারই শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন সমস্ত আঞ্চলিক রেলওয়েগুলিতে দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক। বুধবার ফের নতুন ঘোষণা। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এখন মোট ৬ জোড়া যাত্রী স্পেশ্যাল ট্রেন মেল ও এক্সপ্রেস চলবে।

রেল সূত্রে দাবি, বাতানুকূল এবং সাধারণ কামরা এগুলিতে থাকবে। তবে অসংরক্ষিত সাধারণ কামরাতেও যাত্রীদের বসার সংরক্ষণ দেওয়া হবে। ট্রেনের মধ্যে, কাউন্টার থেকে অথবা রেলের কোনও এজেন্টের মাধ্যমেও টিকিট কেনা অনুমোদিত নয়। তৎকাল টিকিট এখন মিলবে না। অগ্রিম বুকিং বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এক মাস আগে পর্যন্ত অগ্রিম বুকিং পাওয়া যাবে বিভিন্ন ট্রেনে। সব আসনেই যাত্রী নেওযা হবে কনফার্মড টিকিটে। কেন সামাজিক দূরত্বের কথা ভাবা হচ্ছে না?

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘রেলের তরফে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলার পরেই এই সিদ্ধান্তের কথা আমাদের জানানো হয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রোটোকলই মেনে চলছি।’’

রেল সূত্রে ইঙ্গিত, ট্রেনের ভিতরে যাত্রীরা অযথা ঘুরে না বেড়ালে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকবে। এখন থেকে এই দায়িত্ব যাত্রীদেরই নিতে হবে বলে রেল কর্তাদের ইঙ্গিত। জানানো হয়েছে, বাতানুকুল কামরায় আগের মতই তোয়ালে, পর্দা এবং কম্বল দেওয়া হবে না। প্যান্ট্রি কার গাড়িতে থাকলেও তা থেকে রান্না করা খাবার পরিবেশিত হবে না। টিকিটের দামের বাইরে কেবল প্যাকেজজাত এবং শুকনো খাবার আলাদা করে কিনতে হবে যাত্রীদের। স্পেশাল হলেও নিয়মিত মেল-এক্সপ্রেসের মতোই স্টপ দিয়ে চলবে ট্রেনগুলি।

রেল যাত্রী কল্যাণ সমিতি অবশ্য রেলের এই নতুন ধরনের পরিষেবাকে ঘুরিয়ে নাক ধরার মতোই দেখছেন। সংগঠনের সভাপতি দীপক মোহান্তির দাবি, ‘‘সেই যদি সব স্টেশনে দাঁড়ায়, সব আসনেই যাত্রী তোলা হয়, তা হলে কেন খাবারের দাম আলাদা নিচ্ছে রেল? কেনই বা সাধারণ কামরায় নিরাপত্তারক্ষী রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দরিদ্র যাত্রীদের ওঠার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE