Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

কটূক্তি, মার প্রতিবাদী বাবাকে

মেয়েকে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হলেন বাবা। শনিবার ভর দুপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে পুরাতন মালদহের ফুটানি মোড়ে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় তাঁর। অভিযুক্ত যুবকের দাদা এলাকার পরিচিত তৃণমূল কর্মী বলে জানা গিয়েছে।

ফুটানি মোড়ে অভিযুক্ত কালু যাদবদের আলমারি কারখানায় ভাঙচুর জনতার। ছবি মনোজ মুখোপাধ্যায়।

ফুটানি মোড়ে অভিযুক্ত কালু যাদবদের আলমারি কারখানায় ভাঙচুর জনতার। ছবি মনোজ মুখোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৫ ০১:৪৮
Share: Save:

মেয়েকে কটূক্তির প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত হলেন বাবা। শনিবার ভর দুপুরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে পুরাতন মালদহের ফুটানি মোড়ে। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় তাঁর। অভিযুক্ত যুবকের দাদা এলাকার পরিচিত তৃণমূল কর্মী বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মাস তিনেক ধরেই টিউশন পড়ে ফেরার পথে ফুটানি মোড়ে একটি আলমারি কারখানার সামনে কালু যাদব নামে এক যুবক তাকে কুপ্রস্তাব দিত বলে অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রী। আলমারির কারখানাটি অভিযুক্তের দাদার। শুক্রবারও রাত ৮ টা নাগাদ টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার সময় ওই যুবক ছাত্রীর পথ আটকায় বলে অভিযোগ। ছাত্রীর হাত ধরেও টানাটানি করা হয়। বাড়ি ফিরে গোটা ঘটনা জানায় সে। শনিবার দুপুরে ছাত্রীর বাবা ওই আলমারির কারখানায় যান। সেখানে গিয়ে দোকানের মালিক গোপাল যাদবকে নালিশ জানান। সে সময়েই অভিযুক্ত যুবক ছাত্রীর সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করে এবং তাঁর বাবার উপরে চড়াও হয়। লোহার হাতুড়ি দিয়ে ছাত্রীর বাবার মুখে মারে অভিযুক্ত যুবক। চিৎকার শুনে বাসিন্দারা ছুটে এলে, অভিযুক্ত এবং এবং তার দাদা দু’জনেই পালিয়ে যায়। এর পরে উত্তেজিত বাসিন্দারা কারখানায় ভাঙচুর চালায়।

মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এক ছাত্রীকে ইভটিজিং করার অভিযোগে গোলমাল ছড়ায়। এলাকায় পুলিশ গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত কালু যাদবের দাদা গোপাল তৃণমূল কর্মী। ওই এলাকায় চলাফেরার সময় অন্য মেয়েদেরও কারখানা থেকে কটূক্তি করা হতো বলে অভিযোগ। ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘মাসখানেক ধরেই মেয়েকে বিরক্ত করা হচ্ছিল। এ দিন প্রতিবাদ জানাতে গেলে আমাকে মারধর করা হয়। শহরে কি আইনশৃঙ্খলা নেই।’’ ছাত্রীটির অভিযোগ, ‘‘প্রতি দিনই কারখানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আমাকে নানা আশালীন মন্তব্য করা হতো। আমি ভয়ে কিছু বলতে পারেনি। এদিন রাতে আমার পথ আটকে হাত ধরে টানাটানি করলে, কোনও রকমে পালিয়ে আসি। তারপরেই পরিবারের সবাইকে জানিয়েছি।’’

ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী তথা পুরসভার বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান স্বাধীন ঘোষ বলেন, ‘‘এক ছাত্রীকে কটূক্তি করার প্রতিবাদ করায় তার বাবাকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। অভিযুক্তরা আমাদের দলের কেউ নয়। পুলিশকে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE