সরিতা রাই।
উৎসবের মরসুম শেষ হলে গোর্খাল্যান্ড প্রশ্নে কেন্দ্র ফের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকতে পারে, শুক্রবার দাবি করলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুংপন্থী নেতারা। এ দিন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব গৌবার সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা। পরে কালিম্পঙের বিধায়ক তথা মোর্চা নেত্রী সরিতা রাই এই দাবি করেন।
জামিন অযোগ্য মামলায় অভিযুক্ত হয়ে এখন পাহাড়ছাড়া বিমল গুরুং এবং রোশন গিরি। জিটিএ-র দায়িত্বেও রয়েছে মূলত বিনয় তামাং গোষ্ঠী। পাহাড়ের রাজনীতিতে যারা গুরুংয়ের বিরোধী বলেই পরিচিত। ফলে সে ক্ষেত্রে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে রাজ্য এবং কেন্দ্রের সঙ্গে জিটিএ-র প্রতিনিধি হিসেবে তামাংদেরই যাওয়ার কথা। তাতে গুরুংয়ের প্রতিনিধিত্ব থাকবে কী করে? জবাবে গোর্খা নেতা রমেশ আলে বলেন, ‘‘আমরাই গোর্খা সমাজের আসল প্রতিনিধি।’’ আলে এ দিনের বৈঠকে ছিলেন। তাঁর দাবি, কেন্দ্রও তাঁদের পাশে রয়েছে। তাঁর যুক্তি, স্বরাষ্ট্রসচিব তাই তাঁদের সঙ্গেই বৈঠকে বসেছিলেন, তামাংদের ডাকা হয়নি। আলে দাবি করেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রসচিব আশ্বাস দিয়েছেন নভেম্বরেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হবে। পৃথক রাজ্য প্রসঙ্গে কেন্দ্র সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে।’’ তবে বিনয়-অনীত এই নিয়ে কিছু বলেননি।
তবে গোর্খা শিবিরের ভাঙন স্বীকার করে নিয়েছেন সরিতা। তিনি বলেন, ‘‘এক দল গোর্খাল্যান্ডের পথ ছেড়ে এলাকায় উন্নয়ন-শান্তির দাবিতে সরব। অন্য দল আবার গোর্খাল্যান্ডের দাবি থেকে সরতে রাজি নয়।’’ আসন্ন উৎসবের মরসুমে অবশ্য আন্দোলনের সুর চড়াতে নারাজ তাঁরাও। কেননা সে ক্ষেত্রে পর্যটনে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আর একটি কথা হল, নবান্নর ভূমিকা কী হবে? আগেও একবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে উদ্যোগী হয় কেন্দ্র। কিন্তু তাতে জিটিএ প্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোনও গোর্খা নেতাকে মানতে চায়নি নবান্ন। ওই বৈঠক ভেস্তে যায়। এবারের বৈঠকের ভবিষ্যৎ কী? মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, ‘‘প্রথম ধাপে এখন বৈঠকের রূপরেখা তৈরি হবে। তারপর ঠিক হবে আমন্ত্রণ কার কাছে যাবে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy