রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকার ভেঙে মজুত রাখা সোনার অলঙ্কার নিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার কেবিএস মোড় এলাকায়। জনবহুল এলাকায় ব্যাঙ্কে চুরির ঘটনায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। অভিযোগ, পুলিশি টহলদারির অভাবেই এমন ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটল এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের অ্যালার্মের তার কেটে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাঙ্কের প্রতিটি সিসিটিভি বিকল করে দুষ্কৃতীরা সোনার লকারটি ভেঙে অলঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে ব্যাঙ্কের ভল্ট ভাঙতে পারেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিনই বৈষ্ণবনগর থানায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে একটি গ্যাস কাটার, ছোট গ্যাস সিলিন্ডার, হাতুড়ি, লোহার রড উদ্ধার করা হয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ব্যাঙ্কে চুরির ঘটনার সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈষ্ণবনগর থানার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেবিএস মোড় এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক রয়েছে। ওই ব্যাঙ্কের পিছনেই রয়েছে কেবিএস হাই স্কুল। ব্যাঙ্কের পেছনের প্রাচীর স্কুলের সঙ্গে যুক্ত বলে কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে। গত, শনিবার থেকে ব্যাঙ্কটি বন্ধ রয়েছে। দু’দিন ছুটি থাকায় ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। এ দিন সকাল দশটা নাগাদ কর্তৃপক্ষ ব্যাঙ্কে গেলে দেখতে পান সমস্ত কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কে কোনও নিরাপত্তারক্ষী ছিল না। তবে ভল্টের কাছে একটি অ্যালার্ম রয়েছে। ভল্টটিতে হাত দিলেই অ্যালার্মটি বেজে উঠবে। একই সঙ্গে ব্যাঙ্কের ভিতরে ছিল সিসিটিভি ক্যামেরাও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অ্যালার্মের তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। আর প্রতিটি সিসিটিভি ক্যামেরার মুখ ঘুরিয়ে দিয়ে বিকল করা হয়েছে। এরপরই ব্যাঙ্কে সোনা মজুত রাখার লকার ভাঙা হয়েছে। সেখান মজুত রাখা প্রায় আড়াই কেজি সোনা নিয়ে পালিয়েছে বলে ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মূল গেটের তালা ভেঙে স্কুলে ঢুকে দুষ্কৃতীরা। তারপর গ্যাস কাটার দিয়ে প্রাচীর ভেঙে ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। তারপরই অ্যালার্মের তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় এবং পরিকল্পিত ভাবে সিসিটিভির ক্যামেরাগুলি বিকল করে দেওয়া হয়। তারপরেই লকার ভেঙে সোনা নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তবে টাকার ভল্টটি ভাঙতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। চুরির ঘটনার পেছনে ব্যাঙ্কেরই কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার তাপসকুমার সেন বলেন, সোনা মজুত রেখে লোন দেওয়া হয় গ্রাহকদের। এদিন ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারি সোনা চুরি হয়েছে। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy