Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Employment government

কাজের সুযোগ বাড়াতে প্রকল্প

প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক মতো কাজ হলে জেলার যুবকদের জেলাতেই বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেকটা বাড়ানো যাবে। তাতে ভিনরাজ্যে কাউকে কাজের খোঁজে যেতে হবে না। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, “জেলার আর্থিক সমৃদ্ধি, সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে কাজের সুযোগ বাড়ানোর মতো নানা ভাবনা মাথায় রেখে ওই বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান হয়েছে।”c

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

অরিন্দম সাহা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:০৬
Share: Save:

জেলায় কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে ব্যবসা ও শিল্প উন্নয়নে ‘বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান’ করল কোচবিহার প্রশাসন। ওই ব্যাপারে একটি সমীক্ষাও হয়েছে। তার ভিত্তিতেই আগামী কয়েক বছরে জেলায় কী কী কাজের সম্ভাবনা বাড়তে পারে, কোন ক্ষেত্রে কত কাজের সুযোগ হতে পারে, শিল্প ও ব্যবসা ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এগোন দরকার, এমন নানা বিষয় ওই পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে।

প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক মতো কাজ হলে জেলার যুবকদের জেলাতেই বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেকটা বাড়ানো যাবে। তাতে ভিনরাজ্যে কাউকে কাজের খোঁজে যেতে হবে না। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান বলেন, “জেলার আর্থিক সমৃদ্ধি, সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে কাজের সুযোগ বাড়ানোর মতো নানা ভাবনা মাথায় রেখে ওই বিজনেস ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান হয়েছে।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক সমীক্ষায় কোচবিহারে যে সব ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ বেশি রয়েছে বলে উঠে এসেছে সেই তালিকায় বাড়ি তৈরি, রেডিমেড পোশাক তৈরি, উদ্যানপালন, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প সম্ভাবনার বিষয় রয়েছে। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, এ ছাড়াও শীতলপাটি, তাঁতশিল্প, পাটজাত সামগ্রীর শিল্প সম্ভাবনাও জেলায় যথেষ্ট রয়েছে। পরিকল্পনামাফিক এগোনো গেলে ওই সব ক্ষেত্রেই কাজের সুযোগ অনেকটা বাড়ানো সম্ভব। সেক্ষেত্রে তাঁতের কারিগর হিসেবে জেলার বাসিন্দাদের অন্যত্র যেতে হবে না। জেলার উন্নয়ন হবে। একইভাবে বাড়ি তৈরির কাজের জন্য শ্রমিকদের বাইরে যাওয়া,সোনার গয়নার কারিগর হিসেবে ভিনরাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা আটকানোর দিশারও খোঁজ হচ্ছে।

প্রশাসনের দাবি, জেলায় নানা ক্ষেত্রে দক্ষ শ্রমিক, কারিগরের অভাব নেই। কিন্তু তাঁদের প্রশিক্ষণের ঘাটতি রয়েছে। আবার কোন ক্ষেত্রে কেমন কাজের সুবিধে সেই হিসেবও তেমন কিছু নেই। ফলে কোন ক্ষেত্রে কারিগর উদ্বৃত্ত থাকছে, কোন ক্ষেত্রে বাইরের লোকদের উপরে নির্ভর করতে হচ্ছে। চাহিদা যাচাই করে ওই অনুপাত ঠিক করা হলে সেই সমস্যা থাকবে না।

গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের আর্থিক স্বনির্ভরতার ব্যাপারেও ওই পরিকল্পনায় নানা চাষের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। মাছ চাষ, মাশরুম চাষের ব্যাপারে বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। জেলার চকচকা শিল্প তালুকের ব্যাপারেও ওই প্রকল্পে পর্যালোচনা থাকছে। সেখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সম্ভাবনা বাড়ানোর ব্যাপারেও কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

উৎকর্ষ বাংলার মতো প্রকল্পে প্রশিক্ষিত ‘কারিগর’ তৈরির ব্যাপারেও ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোতে চাইছেন প্রশাসনের কর্তারা। সম্প্রতি ওই প্রকল্পে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ‘চাকরি’র সুযোগ বাড়াতে একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে ‘ক্যাম্পাসিং’-এর মোড়কে আলোচনাপর্বও হয় কোচবিহার আইটিআইয়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Project Government Employment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE