জিটিএ-র চেয়ারম্যান অনীত থাপা।
পাহাড়ের জন্য পৃথক স্কুল সার্ভিস কমিশনের তৈরি করে শিক্ষক নিয়োগ করার দাবি উঠেছে দীর্ঘ দিন আগেই। যদিও সেই দাবি এখনও পূরণ হয়নি বলেই জানিয়েছেন জিটিএর প্রধান উপদেষ্টা অমর সিংহ রাই। শিক্ষা দফতর পুরপুরি জিটিএর হাতে হস্তান্তরিত না হওয়ার কারণেই সেটা হয়েছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। স্কুল সার্ভিস কমিশন না হলেও গ্রুপ বি, সি ও ডি পদে নিয়োগ জন্য জিটিএর অধীনে সাব অর্ডিনেট সার্ভিস সিলেকশন বোর্ড তৈরি করছে রাজ্য সরকার। জিটিএ-র চেয়ারম্যান অনীত থাপা মঙ্গলবার এই খবর জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই পাহাড় বিষয়ক দফতরের পক্ষ থেকে ওই বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য বিভিন্ন বিভাগে চিঠি পাঠান হয়েছে। কিছু দিন আগেই সিলেকশন বোর্ড তৈরির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছিলেন অনীত। দাবি মেনে রাজ্যের পদক্ষেপে খুশি তিনি।
ভোটে হেরে গেলেও পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য নির্বাচনী ইস্তেহারে দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি তাঁরা পূরণ করবেন বলে আগেই জানিয়েছেন বিনয় তামাং, অনীত থাপারা। সেই মতো ইতিমধ্যেই পাহাড়ের বিভিন্ন স্কুলে স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষকদের স্থায়ী পদে নিয়োগের কাজ শুরু হয়েছে। শুরু হয়েছে বাসিন্দাদের পাট্টা দেওয়ার কাজও। এ বার গ্রুপ বি, সি ও ডি পদে নিয়োগ শুরু হলে পাহাড়বাসীদের দীর্ঘ দিনের দাবি মিটবে বলেই মনে করছেন অনীতরা। জিটিএ চেয়ারম্যান হিসাবে অনীত বলেন, ‘‘প্রশাসনিক নানা জটিলতার কারণে দীর্ঘ দিন গ্রুপ বি, সি ও ডি পদে নিয়োগ বন্ধ আছে। সিলেকশন বোর্ড তৈরি হয়ে গেলে নিয়োগের জন্য আর কলকাতার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। নিয়োগ প্রক্রিয়াও অনেক সহজ হবে। তা ছাড়া, পাহাড়ের স্থানীয় বেকার যুবক-যুবতিরাও আরও বেশি করে কাজের সুযোগ পাবে।’’ বিনয় তামাং বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের কখনও নিরাশ করেননি। তাকে যখন যে সমস্যার কথা বলেছি তিনি সেই সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করেছেন। সিলেকশন বোর্ড তৈরি হলে পাহাড়ের ক্ষেত্রে সেটা একটি মাইলস্টোন হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy