Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

রোগী রাখতে বাড়ছে শয্যা

কোভিড এবং সারি মিলিয়ে এতদিন তিনশো শয্যা ছিল, সেই সংখ্যা বেড়ে পাঁচশো হতে চলেছে।

ঘেরা: সংক্রমণ মিলেছে। জলপাইগুড়ি নয়াবস্তি এলাকায় বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

ঘেরা: সংক্রমণ মিলেছে। জলপাইগুড়ি নয়াবস্তি এলাকায় বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০২০ ০৪:২৩
Share: Save:

রোগীর সংখ্যা বাড়তেই টান পড়েছে পরিকাঠামোয়। জলপাইগুড়িতে দেড়শো শয্যার কোভিড হাসপাতালেও জায়গা কুলোবে না ধরে নিচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। সিদ্ধান্ত হয়েছে, রোগীর চাপ সামলাতে এবার থেকে জলপাইগুড়ির সারি হাসপাতালেই রাখা হবে করোনা রোগীদের। গত সোমবার জলপাইগুড়ির কোভিড হাসপাতালের পুরুষ বিভাগ কানায় কানায় ভরে যায়, নতুন রোগী এলে কোথায় রাখা হবে তা নিয়ে আশঙ্কা শুরু হয়। জরুরি বৈঠক হয় স্বাস্থ্য দফতরে। তারপরেই সিদ্ধান্ত হয় সারি হাসপাতালের কিছু শয্যায় করোনা রোগীদের রাখা হবে. বুধবার বিকেলে কোভিড হাসপাতালে বাস্তুকারদের নিয়ে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন করোনা মোকাবিলায় উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ আধিকারিক (ওএসডি) সুশান্ত রায়। দ্রুত আরও ২০০ রোগী রাখার পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে হাসপাতালে। কোভিড এবং সারি মিলিয়ে এতদিন তিনশো শয্যা ছিল, সেই সংখ্যা বেড়ে পাঁচশো হতে চলেছে।

জেলা বুলেটিন অনুযায়ী বুধবার সন্ধে পর্যন্ত জলপাইগুড়িতে এক জনের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বুধবার রাত পর্যন্ত জেলায় মোট সংক্রমণ সংখ্যা হল ১০৫। যদিও ওএসডি সুশান্ত রায় বুধবার বিকেলে বলেন, “এখনও পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলায় দু’জন সংক্রমণের রিপোর্ট এসেছে। তাঁরা কোথাকার তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁদের কোভিড হাসপাতালে আনা হবে।’’ আরও বলেন, ‘‘কোভিড হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, আমরা প্রস্তুত।” এ দিন ১৩ জনকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, মা ও শিশু হাবে কাজ করা এক স্বাস্থ্যকর্মীর ট্রুন্যাট রিপোর্টে সংক্রমণ মেলায় উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। যদিও ট্রুন্যাট রিপোর্টে পজিটিভ আসা মানেই সংক্রমণ ধরা হয় না। তবে সাবধনাতার খাতিরে ওই কর্মীকে আপাতত নিভৃতবাসের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ওই কর্মীর লালারসের নমুনায় সংক্রমণ মিললে হাসপাতালের একাংশ পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হবে বলে আশঙ্কা। সে ক্ষেত্রে প্রসূতিদের জন্য পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করতে হবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে। এ বিষয়ে এখনই কোনও স্বাস্থ্য আধিকারিক মন্তব্য করতে রাজি নন। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, “ট্রুন্যাটে সংক্রমণ মিললেও পরে লালারসের নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণ মেলেনি এমনও দেখা গিয়েছে।”

ময়নাগুড়িতে দমকল কর্মীর শরীরে সংক্রমণ মিলতেই পুরো দমকল কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে জলপাইগুড়ি এবং ধূপগুড়ি থেকে ইঞ্জিন যাবে। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে পুলিশেও। পুলিশি নিরাপত্তা পান এমন বহু সরকারি আধিকারিক নিরাপত্তা ফিরিয়েছেন বলেও খবর। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, এমন ‘ভয়’ও থাকা উচিত নয়। ভয় কাটাতে ফের লিফলেটে প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Jalpaiguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE