Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

বৃষ্টির জেরে ধস উত্তরবঙ্গে

রবিবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাতে কোথাও ধস নেমেছে, কোথাও শুরু হয়েছে ভাঙন।

মংপঙে জাতীয় সড়কে ধস। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

মংপঙে জাতীয় সড়কে ধস। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৬:০৮
Share: Save:

রবিবার রাত থেকে উত্তরবঙ্গে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাতে কোথাও ধস নেমেছে, কোথাও শুরু হয়েছে ভাঙন।

ধসের জন্য সেবকের কাছে মংপঙে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা যান চলাচল একরকম বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার বিকেলে ছোট গাড়ি চলাচল শুরু হয়। বড় গাড়ি কবে থেকে যেতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি। এই সড়কটিই মালবাজারের সঙ্গে শিলিগুড়ির যোগাযোগের সহজ রাস্তা। তাই বিপাকে পড়েছেন বহু মানুষ। যাতায়াত করতে হচ্ছে ১০ কিলোমিটার বেশি ঘুরে গজল়ডোবা দিয়ে। তবে নাগরাকাটার নন্দু মোড় এলাকায় জাতীয় সড়ক এখন খানিকটা স্বাভাবিক হয়েছে। বালুখোলা ঝোরার জল উপচে এই রাস্তা একরকম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

মালদহে সব নদীরই জলস্তর বাড়ছে। এ দিন সকাল থেকে গঙ্গার জলস্তর বিপদসীমার চেয়ে ০.১০ মিটার উপর দিয়ে বইছে। তাতে কালিয়াচকের পারদেওনাপুর-শোভাপুর পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। পঞ্চায়েত দফতরের হিসেবে এলাকার অন্তত ১০ হাজার মানুষ জলবন্দি। ত্রাণ ও ত্রাণ শিবিরের দাবি উঠেছে। গোলাপমণ্ডলপাড়া, পারপরাণপাড়া এলাকায় গঙ্গার ভাঙনে বিঘার পর বিঘা আবাদি জমি নদী গর্ভে। এখনও সেই ভাঙন অব্যাহত। সেচ দফতর বোল্ডার ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করে, তা-ও মাঝে মধ্যেই বসে যাচ্ছে।

ফুলহার ও মহানন্দা নদীও ফুঁসছে। এ দিন ফুলহারের জলস্তর বেড়ে হয়েছে ২৬.৪৫ মিটার ও মহানন্দার ১৯.৭১ মিটার। তবে দু’টি নদীরই জলস্তর এখনও বিপদসীমার নীচেই। যদিও সেচ কর্তাদের দাবি, বৃষ্টির জন্য দু’টি নদীর জলই আরও বাড়বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rain Landslide
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE