বাজারে ইলিশ।—নিজস্ব চিত্র।
বর্ষার মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সময় ইলিশের খোঁজেই বাজার ঢুঁড়ে ফেরে অধিকাংশ বাঙালি। কিন্তু এখনও তাজা ইলিশের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ মানুষ। যা পাওয়া যাচ্ছে প্রায় সবই হিমঘরের পুরনো ইলিশ। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির পাইকারি বাজারে অল্প কিছু তাজা ইলিশ ঢুকলেও তার দাম ছিল আকাশছোঁয়া।
বিধান মার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী সেলিম মহলদার, অজিত সরকাররা জানালেন, এ দিন দেড় কেজি ওজনের তাজা ইলিশ ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। তাঁদের কথায়, ‘‘ছোট সাইজের মাছের চাহিদা বেশি। কিন্তু সেটা এখনও পর্যাপ্ত পরিমাণে এসে পৌঁছয়নি।’’ এক কেজি ওজনের কিছু তাজা ইলিশ ১৬০০ টাকা বা তারও বেশি দরে বিকিয়েছে। সুভাষপল্লি বাজারে অবশ্য মাছের আকার এবং দর দুটোই অন্যান্য বাজারের তুলনায় কম ছিল।
শিলিগুড়িতে চম্পাসারি পাইকারি বাজারেই সবার আগে ইলিশ ঢোকে। সেখানকার ইলিশ ব্যবসায়ীরা জানালেন, মঙ্গলবারই শিলিগুড়িতে প্রথম তাজা ইলিশ ঢুকেছে। বড় সাইজের বেশিরভাগ মাছই ও়ড়িষা থেকে হাওড়া হয়ে শিলিগুড়ি ঢোকে। কিছু মাছ কলকাতার কাছে থাকা ডায়মন্ডহারবার থেকেও আসছে। সব মিলিয়ে প্রায় দু’কুইন্টাল মতো তাজা ইলিশ ঢুকেছে মঙ্গলবারের বাজারে।
পশ্চিমবঙ্গ ইউনাইটেড ফিসারমেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বিজন মাইতি, সতীনাথ পাত্ররা জানিয়েছেন, কিছুদিন ধরে সমুদ্রে তাপমাত্রা বেশি ছিল, বৃষ্টি হচ্ছিল না ফলে এক একটি ট্রলারে এক কুইন্টালেরও কম মাছ ধরা পড়ছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে ট্রলারপিছু ৫ থেকে ৬ টন পর্যন্ত ইলিশ ধরা পড়ে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। বাংলাদেশের ইলিশও আসেনি ভারতে, রয়েছে সেই সমস্যাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy