কোচবিহার এখন পাহাড় ও ডুয়ার্সমুখী।
টানা পাঁচদিনেরও বেশি কাঠফাটা গরম। প্রখর রোদে ছাতা নিয়েও বাইরে বেরিয়েও রক্ষে নেই। পারদ চল্লিশ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। এমন আবহাওয়া থেকে বাঁচতে সবাই ছুটছেন পাহাড়, ডুয়ার্সে। কেউ লাভা, লোলেগাঁও, কেউ কেউ কাছেপিঠেই জয়ন্তী পাহাড় থেকে লাটাগুড়ির জঙ্গলে গিয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এককথায় কোচবিহার এখন পাহাড় ও ডুয়ার্সমুখী। অনেকে আবার পৌঁছে গিয়েছে ঝান্ডিও।
কোচবিহারের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সম্রাট কুন্ডু পরিবারের সবাইকে নিয়ে গ্যাংটক ঘুরতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “একটু পাহাড়ে গিয়ে স্বস্তিতে দিন কাটালাম।” আরেক বাসিন্দা দিহাটার জ্যোতির্ময় রায় জানান, তিনি ডুয়ার্সের গাছের ছায়ায় সময় কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, “ঘরের কাছে পাহাড়, জঙ্গল। তাই ডুয়ার্সেই ছুটেছি।”
এমনিতেও ছুটিতে কোচবিহার ছোটে ডুয়ার্সে। গরমের জন্য তা বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, রবিবার তাপমাত্রা চল্লিশ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল। সোমবারও সেই তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির উপরে ছিল। সেই সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় গরম বেশি লাগছিল।
এ দিন অবশ্য দুপুরের পর থেকে একটু শিরশিরে হাওয়া শুরু হয়। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আর একদিনের মধ্যে মৌসুমী বায়ু ঢুকবে উত্তরবঙ্গে। সেক্ষেত্রে আবহাওয়া অনেকটা পাল্টে যাবে বলে জানান উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রামীণ মৌসম সেবা কেন্দ্রের নোডাল অফিসার শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার সারাদিনের গরমের পরে রাত ১১টার অল্প বৃষ্টি হলেও সেই সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। ভোগান্তি বাড়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy