Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

পাঁচ মাস ধরে তালাবন্ধ, স্যানিটারি ন্যাপকিন কাটল ইঁদুরে

কেন এতদিন ন্যাপকিনগুলো বিলি করা হয়নি সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা।

উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যানিটারি ন্যাপকিনের অনেকগুলোই কেটে নষ্ট করে দিয়েছে ইঁদুরের দল।

উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যানিটারি ন্যাপকিনের অনেকগুলোই কেটে নষ্ট করে দিয়েছে ইঁদুরের দল।

শান্তশ্রী মজুমদার
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:০৪
Share: Save:

স্বাস্থ্য দফতরের তরফে শিলিগুড়ি পুরসভাকে দেওয়া হয়েছিল প্রায় ৯০ হাজার স্যানিটারি ন্যাপকিন। সেগুলো উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র বা মাতৃসদন থেকে বিলি করার কথা। কিন্তু তা না করে স্রেফ ফেলে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। প্রায় ৫ মাস পরে যখন তা বিলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তখন দেখা গেল গুদামে রাখা ওই স্যানিটারি ন্যাপকিনের অনেকগুলোই কেটে নষ্ট করে দিয়েছে ইঁদুরের দল।

কেন এতদিন ন্যাপকিনগুলো বিলি করা হয়নি সেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তবে যেটুকু ভাল রয়েছে, সেগুলো স্কুলে ও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় বিলি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শিলিগুড়ি পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের ভারপ্রাপ্ত মেয়র শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘সম্প্রতি বিষয়টি আমার নজরে এসেছে।’’ যদিও কতগুলি স্যানিটারি ন্যাপকিনের বস্তা নষ্ট হয়েছে, কতগুলোয় ইঁদুর বাসা বেঁধেছে, এখনও সেই হিসেব করে উঠতে পারেনি পুরসভা।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর পুজোর আগে স্বাস্থ্য দফতর থেকে ন্যাপকিন দেওয়া হয়েছিল। ৭০টি বস্তায় ১২৫টি করে প্যাকেট রাখা হয়েছিল মাতৃসদনের গ্যারাজে। প্রায় ৫ মাস সেখানেই তালাবন্দি হয়ে পড়েছিল। শনিবার গিয়ে দেখা গেল, মাতৃসদনের গ্যারাজে রাখা রয়েছে স্যানিটারি ন্যাপকিনের বস্তা। একই সঙ্গে রাখা তেলের ড্রাম, সিমেন্টের মশলা মাখার যন্ত্রও। দীর্ঘ দিন ধরে ফেলে রাখার ফলে সেগুলো আদৌও ব্যবহারযোগ্য রয়েছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীদেরই একাংশ। কেন এরকম হল? পুরকর্মীদের একাংশের দাবি, ন্যাপকিনগুলো বিলি করার জন্য কোনও পরিকল্পনাই করেনি পুরসভা। অথচ পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মাতৃসদনে ন্যাপকিনের চাহিদা রয়েছে।

পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরে স্থায়ী মেয়র পারিষদ দীর্ঘ দিন ধরে নেই। এর আগেও প্রসূতি মায়েদের জন্য রাজ্য সরকারের দেওয়া টাকা ফিরে গিয়েছিল। একমাত্র নজরদারির অভাবে এ সব হচ্ছে। অযত্নে নষ্ট হচ্ছে। আমরা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের অভিযোগ জানাব।’’ দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sanitary Napkin Siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE