বন্ধ: জাতীয় সড়কে যন্ত্রণা। নিজস্ব চিত্র
সকাল ৭টার বাস। শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে ছাড়ার পরে বেলা ১২টার মধ্যে পৌঁছনোর কথা রায়গঞ্জে। তা পৌঁছতে লেগেছে বেলা ৩টে। কখনও বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যাও হচ্ছে। সৌজন্য, সেই ডালখোলার ‘বিখ্যাত’ যানজট! জাতীয় সড়কে এই এলাকার ১২ কিলোমিটার রাস্তা পার হতে গড়ে নিত্যদিন ৩ ঘণ্টা করে লাগে। ওই রুটের বাস চালক, ট্রেকার কর্মী কিংবা নিত্যযাত্রীরা আক্ষেপ করে অনেকেই তাই বলে থাকেন, ‘রাজ্যের সরকার পাল্টায়। কেন্দ্রেও নতুন দল ক্ষমতাসীন হয়। পুরসভা, পঞ্চায়েতেও বদল হয়। কিন্তু, ডালখোলায় ‘সেই ট্রাডিশন যেন চলছেই!’
সত্যিই তো রাজ্যে বামেদের হটিয়ে তৃণমূল ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে হইহই করে কত কিছুই পাল্টেছে। সরকারি ভবনের রাতারাতি পাল্টে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট ঝকঝকে হয়ে যাচ্ছে। ফি বছরে বহুবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফর করছেন। তা হলে ডালখোলার যানজটের ভোগান্তির ছবিটা পাল্টাতে পারছে না কেন পুলিশ-প্রশাসন?
তা নিয়ে পুলিশের তরফে যুক্তি অনেক। প্রথম যুক্তি, ডালখোলায় উড়ালপুলের কাজ সম্পূর্ণ করতে গড়িমসি করছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ।
দ্বিতীয়ত, বাইপাসের কাজও সম্পূর্ণ করতে পারছে না কেন্দ্রীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তৃতীয়ত, বেঙ্গল টু বেঙ্গল রোডের সম্প্রসারণ না হলে সেখান দিয়ে নিয়মিত বড় গাড়ি যাতায়াতের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না।
কিন্তু, বাস-ট্রাক চালকদের অনেকেই দাবি করেন, পুলিশ-প্রশাসন চাইলেই যানজট আয়ত্তে থাকতে পারে। নিত্যযাত্রী ও এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের মতে, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা কড়া নির্দেশ দিলেই রাতারাতি যানজট অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যেমন ডালখোলা ব্যবসায়ী সমিতির একাধিক সদস্য জানান, কোনও বড় মাপের নেতা, মন্ত্রী কিংবা আমলা, পুলিশ কর্তা যাতায়াতের সময়ে তো যানজটে সে সব গাড়ি থমকায় না। সে সময়ে পুলিশ রাস্তার ধারে সার বেঁধে দাঁড় করানো ভুট্টার ট্রাককে হটিয়ে দেয়। ভিআিপির যাত্রাপথ মসৃণ করাতে কোথাও বিধি ভেঙে রাস্তা জুড়ে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখলে পুলিশ জরিমানা করে দেয়। শুধু তাই নয়, রেক পয়েন্টের পণ্যবাহী গাড়িও সার বেঁধে পুলিশ জাতীয় সড়কে উঠতে দেয় না।
সহ প্রতিবেদন মেহেদি হেদায়তুল্লা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy