নির্মীয়মাণ জলপাইগুড়ি স্পোর্টস ভিলেজের পরিকাঠামো দেখে প্রশংসা করলেন আইএফএ’র সভাপতি সুব্রত দত্ত। যে পরিকাঠামো তৈরি হচ্ছে তাতে শুধু সন্তোষ ট্রফি অথবা আই লিগের ম্যাচ-ই নয়, কমনওয়েলথ, এশিয়ান গেমসের মতো বড় মাপের খেলাধূলার আয়োজনের কথা ভাবা যেতে পারে বলে জানান তিনি। বুধবার স্পোর্টস ভিলেজের মাঠ এবং পরিকাঠামো তৈরির কাজের অগ্রগতি ঘুরে দেখেন তিনি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের ইঞ্জিনিয়ার, জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব এবং পরিকাঠামো তৈরির কাজে যুক্ত এজেন্সির কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে ফিফার গাইড লাইন মেনে কী কী কাজ করতে হবে তাও জানিয়ে দেন তিনি।
সুব্রতবাবু বলেন, “জলপাইগুড়ির এই স্পোর্টস ভিলেজ রাজ্যের গর্ব। এখানে সন্তোষ ট্রফি অথবা আই লিগের ম্যাচ করতে অসুবিধা নেই। কাজ শেষ হলে কমনওয়েলথ বা এশিয়ান গেমস আয়োজনের সময় ভারত সরকার স্পোর্টস ভিলেজের কথা বিবেচনায় রাখতে পারবে।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয়েছেন। ইতিমধ্যেই আইএফএ ও এআইএফএফ-এর কমর্কতার্দের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তাঁরাও বিষয়টি নিয়ে উৎসাহী। শুধু উত্তরবঙ্গের জন্য নয়, এই স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করে তৈরি করা হচ্ছে।’’ সুব্রতবাবুর কথায়, “জলপাইগুড়ি স্পোর্টস ভিলেজকে ঘিরে রাজ্যে স্পোর্টস হাব গড়ে উঠতে চলেছে। এটা বিরাট ব্যাপার। শুধু ফুটবল নয়। প্রতিটি খেলা উপকৃত হবে।”
স্টেডিয়ামে দুটি লিফট, চারটি ড্রেসিং রুম, ফ্লাড লাইট, খেলা সম্প্রচারের জন্য স্টুডিও, অত্যাধুনিক নিকাশি ব্যবস্থা থাকবে। তৈরি করা হবে ওয়াইফাই জোন। স্পোর্টস ভিলেজে যে মাঠ রয়েছে সেখানে এখন ফুটবল এবং ক্রিকেট দু’টি খেলাই হয়। আইএফএ সভাপতি জানান, পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হলে মাঠটি শুধুমাত্র ফুটবল খেলার জন্যই ব্যবহার হবে। আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো তৈরির জন্য ফিফার গাইড লাইন মেনে কাজ করা হবে। মাঠেরও কিছু সংস্কার জরুরি। যে সমস্ত সংস্থা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আন্তর্জাতিক মানের ফুটবল মাঠ তৈরি করে, তাঁদের নাম ঠিকানা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সংস্থাগুলি শুধুমাত্র মাঠ তৈরি নয়। মাঠে উন্নত মানের নিকাশি এবং অন্যান্য ব্যাবস্থা গড়ে তোলার কাজেও দক্ষ। ইঞ্জিনিয়াররা আশ্বস্ত করেছেন, ফিফার গাইড লাইন মেনে সমস্ত কাজ হচ্ছে। জলপাইগুড়ি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব অঞ্জন সেনগুপ্ত জানান, আইএফএ’র সভাপতি এ দিন নির্মীয়মাণ পরিকাঠামো দেখে খুশি। জেলা ক্রীড়া সংস্থার তরফে সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে।
এদিন দুপুর নাগাদ স্পোর্টস ভিলেজে যান আইএফএ সভাপতি। মাঠের আয়তন, আশপাশের ফাঁকা জায়গা দেখে খুশি হয়ে তিনি বলেন, “ফুটবল মাঠের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হলে ফুটবল নিয়ামক সংস্থা উপকৃত হবে। কেন না বড় খেলা আয়োজনে মাঠের সমস্যা অনেকটা মিটবে। পরিকাঠামো তৈরি হলে নতুন খেলোয়াড় উঠে আসবে।” তিনি জানান, ফিফার গাইড লাইন মেনে এখানে আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম তৈরি করতে এখনও অন্তত ৩৫ কোটি টাকা দরকার। অর্থের সমস্যা নেই। কাজ শেষ হলেই বড় ম্যাচের আসর বসানো যাবে। সন্তোষ ট্রফি এবং আই লিগের মতো ম্যাচ দিতে সমস্যা হবে না। ফুটবল মাঠে চারদিক ঘিরে রাখা লোহার জাল তুলে দেওয়ার পরামর্শ দেন আইএফএ সভাপতি। কেন না ফিফার গাইড লাইনে স্পষ্ট করা আছে মাঠ ঘিরে রাখা চলবে না। ফুটবল মাঠের পাশে ইন্ডোর স্টেডিয়ামও ঘুরে দেখেন সুব্রতবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy