প্রতীকী চিত্র
প্রশাসনের আয়োজিত সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হল না এলাকার বিধায়ককে। অথচ ওই অনুষ্ঠানে দুই তৃণমূল নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাঁরা কেউই জনপ্রতিনিধি নন। তাতেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক কংগ্রেসের মোস্তাক আলম বলেন, ‘‘এটাই তো তৃণমূলের সংস্কৃতি। আর প্রশাসনও যে ওদের কথা মতো যে চলে এই ঘটনাই তার প্রমাণ।’’ চাঁচলের মহকুমাশাসক সব্যসাচী রায় বলেন, ‘‘এমন হওয়ার কথা নয়। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।’’
বুধবার থেকে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ নম্বর ব্লকে শুরু হয়েছে ব্লক মাটি, কৃষি, উদ্যানপালন, মত্স্য, খাদ্য, সমবায়, কৃষি বিপণন ও প্রাণিসম্পদ মেলা। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মেলা যেখানে হচ্ছে সেই জায়গাটি চাঁচল বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। চাঁচলের বিধায়ক কংগ্রেসের মোস্তাক আলম। প্রশ্ন উঠেছে, তিনি বিরোধী দলের বলেই তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। শাসক দলের ব্লক সভাপতি তজমুল হোসেনকে হারিয়েই মোস্তাক বিধানসভা ভোটে জেতেন। সেই তজমুলের ভাই সামিউদ্দিন রহমানের নাম আমন্ত্রণ পত্রেই রয়েছে। তাঁর পরিচয় লেখা হয়েছে কিসান খেত মজদুর সংগঠনের মালদহ জেলা সাধারণ সম্পাদক বলে। সেই সঙ্গেই আমন্ত্রণপত্রে রয়েছে আর এক নেতা, তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। বিকাশবাবুকে সমাজসেবী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ দিন বিকাশবাবু অনুষ্ঠানে না গেলেও দু’টি ব্লকেরই অনুষ্ঠানে সামিউদ্দিন হাজির ছিলেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সামিউদ্দিন দাবি করেন, ‘‘সমাজসেবী হিসেবেই আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে আমার মনে হয়।’’
বিধায়ককে বাদ দিয়ে দুই তৃণমূল নেতাকে আমন্ত্রণ জানানোয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ক্ষুব্ধ ও অপমানিত বোধ করছেন এলাকার কংগ্রেস কর্মীরা। বুধবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিধায়ককে মোবাইলে ফোন করে অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা বলেন বলে দাবি। কিন্তু উত্তর না দিয়েই মোস্তাক ফোন কেটে দেন বলে বিধায়কের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে। মোস্তাক বলেন, ‘‘ন্যূনতম সৌজন্যটুকুও প্রশাসন ভুলেছে।’’
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের অনুষ্ঠানটি হচ্ছে তুলসীহাটা কৃষক বাজারে। তা চাঁচল বিধানসভার মধ্যে পড়ে। সেখানে চাঁচলের বিধায়ক কংগ্রেসের আসিফ মেহবুবকে অবশ্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তিনি এ দিন কলকাতায় থাকায় যেতে পারেননি। কংগ্রেস কর্মীদের দাবি, দিল্লিতে যাই হোক না কেন, স্থানীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ক্রমাগত অবিচার করে চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy