Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

টানা বৃষ্টিতে ডুয়ার্সে ধস, জলবন্দি পাঁচশো পরিবার

শিলিগুড়ি যাওয়ার সেবকের একমাত্র বিকল্প পথ গজলডোবা হয়ে গিয়েছে। সেই পথেও আন্দাঝোরা নদীর জল বেড়ে গিয়ে পূর্ত সড়কের একেবারে গা বেয়ে মাটি ঝুরঝুরে হয়ে গিয়েছে। সেই সড়ক বাঁচাতে কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর। 

জলমগ্ন: তিস্তার জল ঢুকে পড়ল মাল মহকুমার বাসুসুবা গ্রােম। নিজস্ব চিত্র

জলমগ্ন: তিস্তার জল ঢুকে পড়ল মাল মহকুমার বাসুসুবা গ্রােম। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালবাজার শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০৫:১৬
Share: Save:

কোথাও ধস, কোথাও আবার নদীতে সরিয়ে দিয়েছে রেল লাইনের মাটি। কোথাও গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মাটি সরিয়ে দিচ্ছে আপাত নির্বিষ ঝোরার জল। কোথাও জলবন্দি পাঁচ শতাধিক পরিবার। টানা বৃষ্টিতে এমনই পরিস্থিতি ডুয়ার্সে।

গত তিনদিনে ডুয়ার্স থেকে শিলিগুড়ি এবং সিকিম যাওয়ার সেবকের পথে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক বারবার ধস নামার কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই ধস সরলেও, পরক্ষণেই আবার নতুন করে ধস নেমে সেবকের পথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বুধবারের প্রবল বৃষ্টির পর, বৃহস্পতিবারও সকাল থেকেই সেবকের পথ ধসে অবরুদ্ধ হয়ে যায়। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও বিপাকে ফেলে দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ওদলাবাড়ি ও বাগরাকোটের মাঝে ঘিস নদীর জলে রেললাইনের মাটি ক্ষয়ের কারণে ডুয়ার্সে রেল চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।

শিলিগুড়ি যাওয়ার সেবকের একমাত্র বিকল্প পথ গজলডোবা হয়ে গিয়েছে। সেই পথেও আন্দাঝোরা নদীর জল বেড়ে গিয়ে পূর্ত সড়কের একেবারে গা বেয়ে মাটি ঝুরঝুরে হয়ে গিয়েছে। সেই সড়ক বাঁচাতে কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর।

এ দিকে বুধবার গভীর রাতে বাগরাকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের লিস নদীতে সাওগাঁও এলাকায় বাঁধ ভেঙে যায়। সাওগাঁও গ্রামের মাটির বাঁধ রাতারাতি জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে বলে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনও স্বীকার করে নিয়েছে। ফলে শতাধিক মানুষ ঘরছাড়া। সাওগাঁও এলাকা থেকে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ওঠার রাস্তাও লিস নদীর জলের দখলে চলে গিয়েছে।

মালবাজার ব্লকের দক্ষিণ অংশে তিস্তা উপকূলবর্তী চাপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের কেরানি পাড়া, মাস্টারপাড়া, বাবুপাড়া, পশ্চিম সাঙোপাড়া, এলাকায় ৪০০ পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। বৈদ্যডাঙ্গি নদী দিয়ে তিস্তার জল উল্টো দিকে বয়ে গ্রামের দিকে ঢুকতে থাকে। চাপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে দোমহনি হয়ে জলপাইগুড়ি যাওয়ার সড়কেও জল উঠে যায়।

চাপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নন্দিতা মল্লিক রায় জানান, তিস্তার জল ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। তাই রাত হলেই বিনিদ্র অবস্থায় রাত কাটাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। মালবাজার বিডিওর দফতর থেকে চার কুইন্টাল চিঁড়ে, গুড় এলাকায় এসেছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে যাতে স্কুল বাড়িতে বন্যাপীড়িতদের আশ্রয় দেওয়া যেতে পারে, সে জন্যে ইতিমধ্যেই চাপাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বাসুসুবা উচ্চ বিদ্যালয় এবং ধনতলা জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়কে লিখিতভাবে স্কুল বাড়ি দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Duars Landslide Rain
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE