Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

জেলা স্কুলের ছবি থাকবে খামে 

দুই প্রতিষ্ঠানই শতাব্দীপ্রাচীন। ভারতীয় ডাক বিভাগের চলার শুরুর বাইশ বছর পরে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের প্রতিষ্ঠা। ডাকবিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, শতবর্ষ পার করা এই স্কুলের সাফল্যকে কুর্নিশ জানাতেই এই উদ্যোগ

গর্ব: জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল।

গর্ব: জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল।

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:০২
Share: Save:

জেলা স্কুলের ছবি দিয়ে খাম প্রকাশ করতে চলেছে ভারতীয় ডাক বিভাগ। দুই প্রতিষ্ঠানই শতাব্দীপ্রাচীন। ভারতীয় ডাক বিভাগের চলার শুরুর বাইশ বছর পরে জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের প্রতিষ্ঠা। ডাকবিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, শতবর্ষ পার করা এই স্কুলের সাফল্যকে কুর্নিশ জানাতেই এই উদ্যোগ। সাধারণত কোনও প্রতিষ্ঠান ডাক বিভাগকে আবেদন করলে তারা ছবি দিয়ে খাম এবং ডাক টিকিট প্রকাশ করে থাকে। সে জন্য ডাকবিভাগকে টাকাও দিতে হয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও তেমন উদাহরণ রয়েছে। তবে জেলা স্কুলের ক্ষেত্রে ঘটেছে উল্টোটা। ডাক বিভাগ নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা স্কুলের ছবি এবং সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ছেপে খাম প্রকাশ করবে। তার জন্য স্কুলকে কোনও অর্থ জমা করতে হবে না। উল্টে ডাক বিভাগই কয়েক হাজার খাম ছেপে জলপাইগুড়ি তো বটেই শিলিগুড়ি, দার্জিলিং এবং কলকাতা জিপিও-র খাম-ডাক টিকিট বিক্রির কেন্দ্রে রাখবে। এক একটি খাম দাম দশ টাকা করে বিক্রি হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। জলপাইগুড়ির ডাক বিভাগের সুপারিন্টেডেন্ট সুভাষ ডার্নাল বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলের নাম ইতিহাসে উঠে গিয়েছে। দশকের পর দশক থেকে এই স্কুল নিজেদের সাফল্য প্রমাণ করেছে। এই স্কুলের পড়ুয়ারা সারা দেশে নানা সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছে। তাই ডাক বিভাগ স্কুলকে স্বীকৃতি জানাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
ডাক বিভাগ সূত্রের খবর, এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকে জেলা স্কুলে ছাত্র গ্রন্থন সেনগুপ্ত সারা রাজ্যে প্রথম হওয়ায় ডাক বিভাগের এক প্রতিনিধি দল স্কুলে গিয়েছিলেন। স্কুল কর্তৃপক্ষকে সম্মানিত করেন তারা। সে সময়েই স্কুলের হেরিটেজ লাল বাড়ি এবং প্রতিষ্ঠার ইতিহাস জেনে কর্তৃপক্ষকে জানায়। তারপরেই ডাক বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত হয় জেলা স্কুলের ছবি এবং ইতিহাস ছেপে বিশেষ খাম প্রকাশিত করা হবে। বস্তুত জলপাইগুড়িতে ডাক বিভাগেরও হেরিটেজ ভবন রয়েছে। লাল রঙের সেই বাড়িতেই এখনও ডাক বিভাগের অফিস। সুপারিন্টেডেন্টের কথায়, “ঐতিহ্য এবং গর্বের দিক থেকে দুই প্রতিষ্ঠানেরই অনেক মিল।”
ডাক বিভাগের এই সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া জেলা স্কুলের শিক্ষক ছাত্র এবং প্রাক্তনীদের মধ্যেও। স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রভাত বাগচীর কথায়, “ডাক বিভাগের কর্তারা একাধিকবার স্কুলে এসেছিলেন। নানা খোঁজখবর করেছেন। ওরা যে তথ্য জানতে চেয়েছেন সবই দেওয়া হয়েছে। সেগুলি ওদের পছন্দও হয়েছে। ডাক বিভাগ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে খাম প্রকাশ করছে এ সত্যিই স্কুলের পক্ষে গর্বের।” খুশি প্রাক্তনীরাও। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক-চিকিৎসক সন্দীপ সাহা স্কুলের প্রাক্তনী। সন্দীপবাবুর কথায়, “আমাদের স্কুল নতুন করে কোনও স্বীকৃতির অপেক্ষা রাখে না। তবে নিঃসন্দেহে স্কুলের মুকুটে পালকের সংখ্যা আরও একটি বাড়ল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Education Academics Post Office
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE