শুভেন্দু অধিকারী
দলের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না বলে পরিষ্কার করে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরিবহণমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মালদহ জেলা পর্যবেক্ষকের হুঁশিয়ারি, দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। এই বার্তা না মানলে দরকারে ব্লক কমিটিও ভেঙে দেওয়া হবে।
রবিবার সকালে হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী হাইস্কুল ময়দানে দলীয় জনপ্রতিনিধি, পঞ্চায়েতের পরাজিত প্রার্থী এবং বুথ স্তরের নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন শুভেন্দু। হবিবপুর ছাড়াও পুরাতন মালদহ ও বামনগোলা ব্লকের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে। পঞ্চায়েত ভোটের পর এ দিনই জেলায় প্রথম দলীয় বৈঠক শুভেন্দুর। বৈঠকস্থল হিসেবে হবিবপুরকে বেছে নেওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। হবিবপুর, বামনগোলা ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির দখল নিয়েছে বিজেপি। এছাড়া জেলা পরিষদের পাঁচটি আসনই বিজেপি দখল করেছে। একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতও বিজেপি একক ভাবে দখল করেছে। যা অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। তার চেয়েও বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে ব্লকে ব্লকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। হবিবপুর ব্লকে দলের সভাপতি প্রভাস চৌধুরীর সঙ্গে প্রাক্তন সভাপতি উজ্জ্বল মিশ্রের দ্বন্দ্ব। বামনগোলা ব্লকেও ফাহিজউদ্দিনের সঙ্গে অমল কিস্কুর দ্বন্দ্ব। এ দিন নেতাদের নাম ধরে তাঁদের সমালোচনা করেন শুভেন্দু।
ব্লক নেতৃত্ব এবং জেলা নেতানেত্রীদের নাম ধরে তাঁদের ভর্ৎসনা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘ব্লক নেতাদের এক মাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব মিটিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নেতাদের একজোট হয়ে বুথস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে নিয়ম করে বৈঠক করতে হবে। দলের কথা মতো না চললে কমিটি ভেঙে দেওয়া হবে। নতুন নেতা ব্লকে তুলে নিয়ে আসা হবে।” লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির দখলে থাকা ব্লকগুলিতে শুভেন্দু বাড়তি নজর দিচ্ছেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে। এক প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র বলেন, “বিজেপিকে তৃণমূল যে ভয় পাচ্ছে, শুভেন্দুবাবুর বক্তব্যেই স্পষ্ট। যতই চেষ্টা করুন না কেন, বিজেপিকে ঠেকাতে পারবেন না তিনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy